ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জের: শাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শাবি ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ ‘আড্ডা স্ন্যাকস’ নামের দোকানে ফ্লেক্সিলোড করতে গেলে লিমন ও মোস্তাক নামে দুই যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে।

শিক্ষার্থী এ বিষয়ে তার পরিচিত কয়েকজনকে জানালে তারা লিমন ও মোস্তাকের সঙ্গে কথা বলতে যান। এক পর্যায়ে মোস্তাক এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও গালিগালাজ করে।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক অবরোধ করে। প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখলে এলাকাবাসী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।

পরবর্তীতে এলাকাবাসী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশ বেশ কয়েকরাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে পিছু হটে তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

তবে শিক্ষার্থীরা ‘মোস্তাক ও লিমনের গ্রেপ্তার এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি’ না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে বলে ভিসিকে জানান। এ সময় তিনি ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন’ বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা যে আচরণ করেছে এবং ইটপাটকেল-ককটেল নিক্ষেপ করেছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মুনশী নাসের ইবনে আফজাল বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ