ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩০

বরিশালের হিজলা উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দু’জনকে হিজলা এবং একজনকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ছেলে নাঈমের সাথে তার মোটরসাইকেলে করে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। খুন্না গোবিন্দপুর এলাকা অতিক্রমের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা বিরোধী গ্রুপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভির ও তার দলবল হামলা চালায়। এতে শান্ত ও নাইম আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকেই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষের লোকজন খুন্না বাজারে জড়ো হয়। এ সময়ে দুই পক্ষর লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় উপস্থিত ছয়জন পুলিশের মধ্যে চারজন ও উভয়পক্ষের আরো ২৪ জন আহত হন।

হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।