চ্যালেঞ্জিংয়ে কতটা সক্ষম হবেন রাবি’র নয়া প্রো-ভিসি

গোলাম সারওয়ার:

“রাবি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের” আহ্বায়ক প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলামকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান।১৭ জুলাই তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা।প্রশ্ন জেগেছে ,বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভগ্নদশা পুনরুদ্ধারে তিনি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন!অনিয়ম,দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যক্রমে কতটা সফলকাম হতে পারবেন? যদিও প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ি প্রোভিসির ক্ষমতার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।তারপরেও তিনি দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।নিয়ম অনুযায়ী- তিনি হয়তো এখন “দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক থাকতে পারবেন না।তাহলে এই সংগঠনের ভবিষ্যত কী?

একজন ভিসি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।তিনি সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক ও একাডেমিক প্রধান কর্মাধ্যক্ষ।একক ক্ষমতাবলে অনেক কিছুই তিনি করতে পারেন।তারপরেও ভিসির পরেই প্রো-ভিসির স্থান।তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়।মূলতঃ সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারিদের সমস্ত দায়-দায়িত্ব তাঁর।আরো কয়েকটি দপ্তরের কাজও তাঁকে করতে হয়।কয়েকটি কমিটির সভাপতি এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে থাকেন।মোটাদাগে বলতে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক মোকাবিলায় তিনি থাকেন সর্বদা প্রস্তুত এবং শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিনি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এই নয়া প্রো-ভিসিকে প্রায় বছর দুয়েক ধরে সাবেক ভিসি প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তিনি এবং তাঁর গ্রুপের অনেকেই প্রফেসর সোবহানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর মিজান গ্রুপের সমর্থক বলে পরিচিত। প্রফেসর মিজান উদ্দিন ভিসি থাকাকালীন প্রফেসর সুলতানকে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।ভিসি সাহেবদের প্রিয়ভাজন এবং বিশ্বস্ত শিক্ষকরাই সাধারণতঃ বিভিন্ন পদ-পদবী পেয়ে থাকেন।তিনি পরিচালক থাকা অবস্থাতেই প্রফেসর মিজান উদ্দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

এরপর ভিসি হয়ে আসেন প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান।প্রফেসর মিজান উদ্দিনের সময় যারা ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এবং দপ্তরের পরিচালক, প্রশাসক এবং হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন; তাদের উপর শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। তারাও একসময় অসহযোগিতা শুরু করেন।সৃষ্টি হয় দূরত্বের। রূপ নেয় চরম দ্বন্দ্বের।এভাবেই রেষারেষিতে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের মধ্যে দু’টি গ্রুপ সৃষ্টি হয়।একটি প্রফেসর মিজান গ্রুপ অন্যটি প্রফেসর সোবহান গ্রুপ। তারই ফলশ্রুতিতে সম্ভবতঃ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রফেসর সোবহানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে “দুর্নীতিবিরোধী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ” -এর ব্যানারে শুরু করা হয় আন্দোলন।তাঁরাই প্রফেসর সোবহানের অনিয়ম-দুর্নীতির ১৭টি অভিযোগ চিহ্নিত করে সংযোজনীসহ ৩০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, এবং দুদক-এ দাখিল করেন। এই আন্দোলনই প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলামকে পরিচিতি এনে দেয়।এখানেই তাঁর সফলতার দ্বার খুলে যায়।পাশাপাশি তদ্বিরের গুণে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে।কিন্তু তিনি যোগদান করার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ ।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পরিবারের সন্তান।তাঁর ভাই নাকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর দোসর ছিল।তাঁর আত্মীয়-স্বজন বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন,”মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি যেন রাবি প্রশাসনে না আসে।এ ধরনের কেউ ভিসি,প্রোভিসি নিয়োগ হলে তা কেউ মেনে নেবেনা।তখন বিষয়টি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকবেনা।এটি রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হবে।এমতাবস্থায় সর্বাত্মক প্রতিবাদ জানানো ছাড়া উপায় থাকবেনা”।তার পরের দিনই তারই দলের ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী’ রাজশাহী মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এই নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ জানান, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে জামায়াত-বিএনপির আমল ফিরিয়ে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে”।একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে আন্দোলনে নামার জন্যও তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

অপরদিকে একইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে “আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ” ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বিদায়ী ভিসি’র এডহকভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা নয়া প্রোভিসিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন,প্রফেসর সুলতানের আপন বড় ভাই প্রয়াত অধ্যাপক ড. সোলায়মান আলী সরকার ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন।সে সময় তিনি পাক হানাদার বাহিনীর যোগসাজশে শহিদ শামসুজ্জোহা হলে নির্মম নির্যাতন করে অনেক নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে।প্রফেসর সুলতান উল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে বসিয়ে মূলত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এবার পেপার পত্রিকায় যাঁদের নাম দেখা গেছে,তাদের মধ্যে বেশিরভাগই “দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের” সদস্য।তাহলে,স্বাভাবিকভাবেই মনে একটা প্রশ্ন জাগে,”তবে কী দুর্নীতিবিরোধী এই আন্দোলন তাঁদের ভিসি,প্রোভিসি হওয়ার পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে?তাঁদের আন্দোলন কী শুধু প্রফেসর আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ছিল,না বিশ্ববিদ্যালয়ের সবসময়ের অনিয়ম,দুর্নীতির বিরুদ্ধে? লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো,এই দুর্নীতিবিরোধী কমিটির সাথে বৃহত্তর শিক্ষক সমাজের কোন সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি।এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছেন ভিসি।এই ভিসি পদ আন্দোলনরত শিক্ষকরা আয়ত্ত করতে পারলেই, দেখবেন খেলা শুরু হয়ে যাবে।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণের কথা চিন্তা করলে একই মেরুর ভিসি,প্রোভিসি নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে অভিজ্ঞমহলের মতামত।তা না হলে শিক্ষা ও গবেষণাসহ প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতাসহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

আমরা বহুল আলোচিত সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুস সোবহানকে নিয়েও অনেক আশা করেছিলাম।২০০৮ সালে প্রথম মেয়াদে ভিসি হওয়ার আগে শিক্ষকতাজীবনে তাঁর বেশ সুনাম ছিল।পূর্ব থেকেই দক্ষ প্রশাসক বলে পরিচিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যরা সেসময় তাঁকে সৎ বলেই জানতেন।প্রতিটি বক্তব্যেই তিনি কুরআন-হাদীসের উদ্ধৃতি দিতেন।নামাজে ইমামতিও করেছেন,শোনা যায়।পরবর্তীতে তিনি হজ্জও পালন করেন।২০০০ সালে তিনি রাবি শিক্ষক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন।দুই বছর প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন।২০০৪ সালে চারদলীয় জোটের রাজত্বকালে ৫৪৪ জন এবং ২০০৭ সালে ২০০ জন কর্মচারীর অনিয়ম এবং বিতর্কিত নিয়োগের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদমুখর ছিলেন।এ সময় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না থাকা সত্বেও আরো ৮০০ জনকে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়। এর প্রতিবাদে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এই সোচ্চার হওয়ার ভূমিকায় তিনি সামনের সারির একজন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছিলেন।২০০৮ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর আলতাফ হোসেনকে ইউজিসি’র সম্মুখে জবাবদিহি করতে বাধ্য করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে টানা ১০৪ দিন কারাবন্দী ছিলেন।এতসব সুনাম মাথায় নিয়ে দুই দুইবার ভিসি নির্বাচিত হওয়ার পর সবকিছুকে পিছনে ফেলে প্রফেসর সোবহান অনিয়ম-দুর্নীতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করলেন।আর কাকে বিশ্বাস করবো আমরা? “ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়”। আমাদের দশা এরকমই।

আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য তথা রাজশাহীবাসি আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আর কামড়াকামড়ি দেখতে চাইনা।ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে এখন বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভাবতে হবে।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ নিয়ে আর কেউ ষড়যন্ত্র করবেননা।দীর্ঘকালব্যাপী আমরা নানা ধরনের খেল দেখেছি।এই খেলায় নিজেরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছি,হালুয়া রুটির ভাগ বাটোয়ারায় লিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ফোকলা করে দিয়েছি।আর নয়।গণমানুষের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করি।’দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজকে” আমরা আহ্বান করবো, সাময়িক সময়ের জন্য নয়,আপনারা দলমত নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৃহত্তর স্থায়ী কমিটি করুন।ভিসি,প্রোভিসি হয়ে গেলেন আর কার্যক্রম শেষ করে ফেললেন-এটা যেন আমাদের দেখতে না হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়,ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন,এডহকভিত্তিতে ১৩৮ জনের নিয়োগ পুনর্বিবেচনা করে নিয়মের মধ্যে থেকে কীভাবে তাদের বৈধ করা যায়,তার একটা যৌক্তিক উপায় বের করুন।নিয়োগপ্রাপ্তদের কী দোষ!এটা কর্তৃপক্ষের দোষ।তবে নিয়োগপ্রাপ্তরা মানববন্ধনে “প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামকে প্রোভিসি’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে” বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা আদৌ ঢোপে টিকার মত নয়।অসার বক্তব্য।সরকার কোন ছোটখাটো বিষয় নয়।তার বিরাট তদন্তবাহিনী আছে।বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সরকার।এইসব স্পর্শকাতর বিষয় তদন্ত করেই তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে।

প্রফেসর সুলতানকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বলে অভিযুক্ত করে যা বলা হয়েছে, সেটাকে তিনি স্পষ্ট ইনটেনশনালি প্রোপাগাণ্ডা বলে দাবি করেছেন। তাঁর ভাই যে রাজাকার ছিলেন, তা অভিযোগকারিদের প্রমাণ করতে বলেছেন।এ প্রসঙ্গে আমাদের জিজ্ঞাসা হলো- তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করেন, তাঁরা কী এসব বিষয় জানতেন না! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ভাই ‘৭১ সালে পাকবাহিনীর দোসর ছিলেন, এটা জেনেও কোন যুক্তিতে কট্টর প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে থেকে কীভাবে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন?এটা যারা অভিযোগ করছেন, তাদেরই প্রমাণ করার দায়িত্ব।প্রমাণে যদি সত্যতা মেলে, তবে তার বিহিত ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই করবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিষয়টি খোলসা করার জন্য একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।

সবমহলের কাছে আমাদের দাবি- এই অধপতিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি নজর দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে ক্ষান্ত হন।ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে হানাহানি করে নিজেদের আর স্বার্থান্ধ বলে পরিচিত করবেননা।সরকার যাকেই ভিসি,প্রোভিসি করুক না কেন,প্রধানত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র,কর্মচারী সর্বোপরি গণমানুষ যদি সচেতন হই,তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেউ ক্ষতি করতে পারবেনা।

লেখক : সাংবাদিক ও সাবেক রাবি কর্মকর্তা
ইমেইল: golamss636@gmail.com