সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক।
পাশাপাশি তিনি ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার জরিমানাও দিতেও রাজি হয়েছেন। আদালতে দায়ের করা মামলা মিটমাট করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের (সিএসসি) সঙ্গে এসব চুক্তি করেন।
এসইসি ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছিলো সিএসসি। মামলায় বলা হয়, তিনি বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন।
গত ৭ অগাস্ট এক টুইট করে তিনি বলেন, টেসলাকে প্রাইভেট কোম্পানি করার জন্য তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড রয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির প্রতিটি পাবলিক শেয়ার ৪২০ ডলারে কিনে নেয়া যাবে। এই টুইটের পরে স্বাভাবিকভাবেই টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু তিনি ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা না করতে পারায় পরবর্তীতে শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ কমে যায়। এতে অনেক বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
এসইসি জানিয়েছে, এই টুইটের কোনো ভিত্তি ছিলো না। কোম্পানি প্রাইভেটাইজ করা বা ফান্ডদাতাদের বিষয়ে টেসলার সঙ্গে মাস্ক কোনো আলোচনাই করেননি। এ বিষয়ে মাস্কের বক্তব্য হলো, পরে তিনি তার মত বদল করায় আর পরিকল্পনাটি নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি।
এসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের জন্য তিনি টেসলার চেয়ারম্যান পদে বসার জন্য নির্বাচন করতে পারবেন না মাস্ক। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যেই তাকে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে হবে। তবে তিনি টেসলার সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। তার জায়গায় অন্য দুই ব্যক্তিকে পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শুধু ইলন মাস্ক নয়, টেসলাকেও ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এসইসি।