চুলকানির দাপটে শেষ পর্যন্ত বাবা-মাকে খুন! অত:পর আত্মহত্যা যুবতীর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাবা-মা’কে খুন করে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন যুবতী। সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন কারণ। আর সেই কারণের কথা সামনে আসার পরে বিস্মিত সকলে। আসলে তীব্র চুলকানির অসুখে ভুগছিলেন ওই যুবতী। আর সেই কারণেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, হংকং-এর বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম পাং চিং-ইউ। ঘটনা গত সোমবারের। ওই দিনই তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন বাবা-মা’কে। তার পর নিজে বিষাক্ত গ্যাস সেবন করে আত্মঘাতী হন।

কিন্তু কেন এমন চরম পথ বেছে নিতে হল পাং চিং-ইউকে? জানা যাচ্ছে, তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ চর্মরোগে ভুগছিলেন। যার ফলে প্রবল চুলকানি ও জ্বলুনিতে অস্থির থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। চামড়া জুড়ে বিশ্রী লালচে দাগ। চিকিৎসা চললেও মিলছিল না রেহাই।

নিজের ব্লগে কয়েকদিন আগেই ওই যুবতী লেখেন— তিনি জানতে পেরেছেন, ওই রোগ বংশানুক্রমিক। অর্থাৎ এই অস্বস্তির জন্য যে তাঁর বাবা-মা’ই পরোক্ষে দায়ী, সেই ধারণা তাঁর মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তিনি সে কথা স্পষ্ট করে লিখেওছিলেন। জানিয়েছিলেন, এমন চামড়ার অসুখে ভোগা দম্পতির কখনই উচিত নয় সন্তানের জন্ম দেওয়া।

এর পরই তিনি ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নেন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। মারণ রোগের তীব্র যন্ত্রণা সামলেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ভাববেন অনেকেই। ওই যুবতীর চুলকানি কতটা তীব্র ছিল যে, তিনি ওই রকম সিদ্ধান্ত নিলেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ওষুধই হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। কেননা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় দুর্বল হয়ে যায় মানুষের বোধশক্তি। স্নায়ু দৌর্বল্যের ফলে রোগীর স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি ব্যাহত হয়।