চিনাদের এই ‘পাপ’ কি ক্ষমা করবেন মহাদেব!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: শিবঠাকুরের আপন দেশে সর্বনেশে নিয়ম জারি করল চিনারা। কৈলাস তীর্থে ভারতীয়দের প্রবেশে রীতিমতো বাগড়া দিয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন। কমিউনিস্ট দেশের এহেন বাড়াবাড়ি কি মুখ বুজে মেনে নেবেন কৈলাসপতি মহাদেব, এমন প্রশ্ন যদি ঘুরপাক খায় কোটি কোটি শিবভক্তের মনে, তাহলে তাঁদের দোষ দেওয়া যাবে না।

চিনের বাধাতেই দেওয়াতেই এবছরের মতো সিকিমের নাথু লা হয়ে মানস সরোবর সরকারিভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল ভারত। যার ফলে প্রায় আটশো পুণ্যার্থীর কৈলাস দর্শনের সাধ অপূর্ণ থেকে গেল।

নাথু লা-তে ভারত-চিন সীমান্তে বেশ কয়েকদিন ধরেই দু’-দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ জারি করা বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছে, গত ১৬ জুন চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-র একটি দল ভুটানের অন্তর্গত ডোকলাম অঞ্চলে ঢুকে একটি রাস্তা তৈরির চেষ্টা করে। তখন ভুটানের সেনারাই চিনের বাহিনীকে বাধা দেয় বলে দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে।

সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারতীয় সেনারা ভুটানি সেনাদের সাহায্য করেছিল বলে ভারতের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। সীমান্তে চিনের এই প্রচেষ্টা ভারতের সুরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে ভারত। বিষয়টি চিনা সরকারকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

চিন অবশ্য এর আগে দাবি করেছিল, ভারতীয় সেনারাই তাঁদের সীমানার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৯৬২-র যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা’ নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ভারতকে হুমকিও দিয়েছে চিন।

এই পরিস্থিতে নাথু লা দিয়ে মানস সরোবর যাত্রা বাতিল করে দিতেই বাধ্য হল ভারত। এই দুর্গম পথ পেরিয়ে কৈলাস যাত্রার জন্য প্রায় আটশো পুণ্যার্থী এবছর অপেক্ষায় ছিলেন। তবে নাথু লা দিয়ে মানস সরোবর যাত্রা বাতিল হয়ে গেলেও উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস দিয়ে মানস সরোবর যাত্রা চালু থাকবে। যদিও, সেই পথটি অনেক বেশি দুর্গম।

মহাদেব রুষ্ট হলে তার পরিণাম কী হতে পারে, সেই ধারণা হয়তো স্বাভাবিকভাবেই চিনাদের নেই। কিন্তু কৈলাস দর্শন থেকে তার ভক্তদের বঞ্চিত করাকে কী ভাল ভাবে নেবেন মহেশ্বর! সূত্র: এবেলা