চিকিৎসক লিখলেন গলার পরীক্ষা, ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিলো মাথার রিপোর্ট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ছেলের গলার সমস্যা নিয়ে গত ২৯ জুন রাজশাহী একটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়েছিলেন বাগমারার ফরিদুল ইসলাম। এ সময় ছেলে সাদিকুল ইসলামাকে গলার সমস্যা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (ইএনটি) ডা. খালেদ শাহরিয়ারের চেম্বারে দেখান। চিকিৎসক খালেদ শাহরিয়ার সাদিকুলকে দেখে গলার পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থাপত্র দিলেন। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার কাছে আসতে বললেন।

হাসপাতালের বাইরে বের হয়েই ফরিদুল ইসলাম পড়লেন দালালের খপ্পড়ে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গেলেন নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে। সেখানে এক্স-রে রিপোর্টসহ গলার রিপোর্টের জায়গায় দেওয়া হলো মাথার রিপোর্ট।

ভুক্তভোগী ফরিদুল ইসলাম জানান, এই কয়েকদিন ছেলেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুয়ায়ী ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তার ছেলের গলার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। তাই শনিবার হাসপাতালে গিয়ে বর্হিবিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আমিনুল ইসলামকে দেখান। কিন্তু ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রিপোর্ট দেখে তো অবাক চিকিৎসক।

চিকিৎসক জানালেন, এটা তো মাথার পরীক্ষা করা হয়েছে। ডা. আমিনুল ইসলাম সবকিছু দেখে তার ছেলেকে ভালো ভাবে গলায় হাত দিয়ে আবার নতুন করে ওষুধ লিখে দিলেন। এবং গলার পরীক্ষাটা করে তার কাছে হাসপাতালে দেখাতে বললেন। তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভুল মানুষ কেমনে করে? এখন আবারও নতুন করে পরীক্ষা করতে হবে। এমন হলে আমরা কোথায় যাবো?’

এ বিষয়ে নগরীর ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টরের ফোন করা হলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করেন। তবে তিনি এনিয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। এমনকি নিজের নামটাও বলতে চাননি।

রাজশাহী ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’