চাহালকে রাতভর হাত-পা-মুখ বেঁধে রাখেন সাইমন্ডস!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

‘জোকার’ হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি আছে ভারতের রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের। তার এসব মজায় ক্রিস গেইলের মতো ক্রিকেটারও একসময় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। চাহাল যে শুধু অন্যদের সঙ্গে মজা করেন তাই নয়, তার সঙ্গেও মজা করেন সবাই। এই মজা করতে গিয়েই একাধিকবার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল যুজবেন্দ্র চাহালের! সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে এসে চাহাল নিজেই সেইসব ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন।

প্রথম ঘটনা ২০১১ সালের। চাহাল বলেছেন, ‘২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর চেন্নাইয়ের হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। সাইমন্ডস অনেক ফ্রুট জুস পান করেছিল। আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। এরপরে জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন এবং সাইমন্ডস আমার হাত-পা বেঁধে দেয়। তারপরে আমাকে বলে, “এবার খুলে দেখাও তো!” তারা এতটাই ফুর্তিতে ছিল যে আমার মুখেও টেপ লাগিয়ে দিয়েছিল। তারপর তারা আমাকে একদম ভুলে যায়!’

তাহলে কীভাবে সেই মারাত্মক অবস্থা থেকে মুক্ত হলেন চাহাল? ভারতের স্পিনার আরও বলেন, ‘পার্টি শেষ হওয়ার পরে সকালে একজন ক্লিনার এসে আমাকে সেই অবস্থায় দেখে মুক্ত করেন। তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কতক্ষণ এভাবে থাকতে হয়েছিল, আমার জবাব ছিল, সারারাত! পরে সাইমন্ডসদের কিছুই মনে ছিল না! ফ্রুট জুস পান করার করার পর তারা অনেক কথা বলেছিল। তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ‘

পরের ঘটনা আরও রোমহর্ষক। চাহাল বলেন, ‘এই ঘটনা আগে কখনই জানাইনি। তবে এবার সবাই জানবে। ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘটনা। আমাদের ব্যাঙ্গালোরে ম্যাচ ছিল। ম্যাচের পরে একটা গেট-টুগেদার পর্ব ছিল। একজন ছিলেন পুরোপুরি মদ্যপ। তার নাম বলছি না। প্রচুর নেশার ঘোরে ছিল। অনেকক্ষণ ধরে আমার দিকে তাকিয়ে থাকার পরে সে আমাকে ডেকে বাইরে নিয় যায়। তারপরে ব্যালকনি থেকে ঝুলিয়ে দেয়!’

চাহাল আরও বলেন, ‘আমার হাত তার গলার চারপাশে জড়িয়ে ছিল। একটু এদিক ওদিক হলে ১৫ তলা থেকে সোজা নিচে পড়ে যেতাম! ঠিক সেই সময় হুট করে বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলাম! তারপরে উপলব্ধি করি, কোথাও যাওয়ার পর আমাদের কতটা দায়িত্বশীল হতে হয়। সেই ঘটনায় বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছিলাম। সামান্য ভুল হলেই নীচে পড়ে যেতাম। ‘

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ