চালের সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা করলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

গুজব ছড়িয়ে দাম বাড়ানোর প্রবণতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের হয়রানি করবে না। তবে কেউ যদি কোনো অনিয়ম করেন, তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে। নির্বাচনের ঠিক আগে ও পরে অনেক ব্যবসায়ী লোভ সামলাতে না পেরে চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করেছিলেন। এখন সেই সুযোগ বন্ধ করতে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। চালের বস্তার গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মূল্য ও কোন জাতের চাল, তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সবাই দেশকে ভালোবাসলেই দেশ থেকে ক্ষুধা নিরুদ্দেশ হবে এবং আমাদের স্বাধীনতা সার্থক হবে।

এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশপ্রেম সম্পর্কেও ব্যবসায়ীদের মনে করিয়ে দেন এবং অনিয়ন্ত্রিত হারে দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দেন।

সভায় চালের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, হাস্কিং, অটো রাইস মিল এবং কর্পোরেট গ্রুপের মালিক বা প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর সামনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার পাল, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ বগুড়ার বিভিন্ন চালকল মালিক, চালের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।