সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় এক গাড়ি চালককে মারধরের ঘটনায় শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট মেহেদী ইউসুফকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
ওই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি দক্ষিণ) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান।
ধানমন্ডি ৭/এ সড়কে শনিবার বিকালে ওই গাড়ি চালককে মারধরের ভিডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধানমন্ডিতে কেএফসির সামনে পার্কিং করা একটি গাড়ির চালকের কাছে কাগজ চাইলে তা নিয়ে দুই জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় ওই সার্জেন্ট চালক ইউসুফ ফরাজীকে বেধড়ক মারধর করেন।
https://www.youtube.com/watch?v=sPYxU2WmT4g
মারধরের ওই দৃশ্য শনিবার রাতেই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
সার্জেন্ট মেহেদী দাবি করেছেন, “যেভাবে ভিডিওটি এসেছে তা আংশিক। গাড়ির কাগজপত্র চাইলে প্রথমে সে না দিয়ে চলে যেতে চায়। পরে কাগজ দিলেও পুলিশ সম্পর্কে বাজে কথা বলে। তাছাড়া কাগজপত্র নিয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে সে টেনে ধরে। এরপরেই তাকে ধরে থাপ্পড় দিই। এ সময় সে আমাকে ঘুষি দেয়।”
ভিডিওতে দেখা গেছে, সার্জেন্ট মেহেদী মারধরের এক পর্যায়ে চালককে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারছেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই সার্জেন্টকে ঘিরে ধরেন।
এ বিষয়ে মেহেদী বলেন, “তাকে (চালককে) আটক করতে ওই কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে পরে চালক এবং গাড়ি ধানমন্ডি থানায় দেওয়া হয়।”
বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে বলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।
২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া মেহেদী ইউসুফ এখনও শিক্ষানবিশ পর্যায়ে রয়েছেন।
এ ঘটনায় সার্জেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার রেজোয়ান বলেন, “ট্রাফিক সার্জেন্টকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গাড়ির মালিক আরিফুল ইসলাম জানান, তার চালককে মারধরের ঘটনায় তিনি সার্জেন্টের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন।
সূত্র: বিডিনিউজ