চারঘাটে র‌্যাব পরিচয়ে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ভুয়া সাংবাদিক র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় নিজেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে এক গুড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এক ভুয়া সাংবাদিক র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার মেরামতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ওই ভুয়া সাংবাদিকের নাম তারিক হোসেন। তিনি চারঘাট সদর উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর তারিককে চারঘাট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চারঘাট) মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, গত বুধবার রাতে অভিযুক্ত কতিপয় ভুয়া সাংবাদিক তারিকের নেতৃত্বে একটি দল র‌্যাবের ভুয়া পরিচয় দিয়ে চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের কৃষক ও গুড় ব্যবসায়ী জনৈক ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালায়। এসময় তারা নানা ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দেয়। এতে গুড় ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মামলা ও গ্রেপ্তারের হাত থেকে রক্ষা পেতে ৫ লাখ টাকা চাদা দাবি করেন অভিযুক্ত তারিকসহ তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদার টাকা পেয়েই তারিক ও তার সহযোগীরা দ্রুত চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগীরা পরে অবহিত হন যে, অভিযুক্ত তারিকসহ যারা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়িতে এসে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে চলে গেছে তারা মুলত চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের ভুয়া সাংবাদিক। পরে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম হোসেন বুধবার রাতেই অভিযুক্ত তারিখের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আসামি ধরতে অভিযান চালায় র‌্যাব।এসময় তারিককে মেরামতপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে চারঘাট মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

ওসি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ তবে চাঁদাবাজির দুই লাখ এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।