চারঘাটে মদপানে আরো ২জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর চারঘাটে মদপানে আরো দুইজনের মৃতুর হয়েছে। এরা হলেন, চারঘাট কুটিপাড়া এলাকার সুলতান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (৫৫) ও একই এলাকার মরুমন্ডলের ছেলে লালন মন্ডল (৪৫)।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে তারা মৃত্যু বরণ করেন।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি সিল্কিসিটি নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, তারা বর্তমানে রামক হাসপাতালের মর্গতে আছেন। তাদের বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মদ পানে তাদের মৃত্যু হেতে পারে। ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। এর আগে একই এলাকার আরো ৫জনের মদপানের জন্য মৃত্যুতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার মদপানে একই এলাকার আরো ৫জনের মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে অসুস্থ্যদের পরিবারের সদস্যরা চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাতাব উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করলে মাহাতাবের পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ দাফন করে।

এরপর মঙ্গলবার ভোরে সুইপার কলোনীর বাসিন্দা জহুর লাল, বধুনী রানী ও মোক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদের পরিবারের লোকজন দ্রুত তাদের চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে তারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

এরা হলেন, সারদা পুলিশ একাডেমীর ভিতরের সুইপার কলোনীর বাসিন্দা গণেশের ছেলে জহুর লাল(৬৫), একই এলাকার বাসিন্দা রনজিতের স্ত্রী বধুনী রানী(৭০) ও একই এলাকার সিরাম এর ছেলে অনিল (৫৫) এবং পৌরসভার এলাকার গৌরশহরপুর গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে মাহাতাব উদ্দিন (৫০) ও মোক্তারপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন(৫৫)।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সুইপার কলোনীর বাসিন্দা অনিল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হয়। আজ দুপরে অনিল সেখানে মারা যায়। অনিলের লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অপর জহুর লাল, বধুনী রানী ও  হেলাল উদ্দিনের ময়না তদন্তের জন্য রামেকে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা মনে করছে, অতিরিক্ত মদপানে তারা মারা গেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।

স/আ