চামড়ার দাম নিয়ে অসন্তোষ ব্যবসায়ীদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়ার সঠিক দাম এবার পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ করেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে বিভিন্ন ট্যানারির এজেন্টদের দাবি, নির্ধারিত দামের চেয়ে দাম বেশি দিয়েও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের খুশি করা যাচ্ছে না।

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এরপর তা নিয়ে তাঁরা ট্যানারির এজেন্ট ও আড়তদারদের কাছে ছুটেছেন ভালো দামের আশায়।

 

মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, গত বারের চেয়ে এবার একটি চামড়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। ট্যানারির এজেন্টরা সবাই এক জোট হয়ে কম দাম দিচ্ছে। দেড় হাজার টাকার চামড়া এক হাজার ২০০ টাকা দিচ্ছে। এক রকমের টানা-হেঁচড়া করে চামড়া নিয়ে যাচ্ছে এজেন্টরা।

 

তবে আগে থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সেটা মানতে পারছেন না বলে জানান আড়তদার ও ট্যানারি এজেন্টরা।

 

কয়েকজন ট্যানারি এজেন্ট দাবি করেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি ছোট চামড়া দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দাবি করছেন তাঁরা। এ জন্য তাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। যে চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা, তা কিনতে হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকায়।

 

চামড়ার ব্যবসাসংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যবসা সংগঠন ৯ সেপ্টেম্বর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে, কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানায়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, রাজধানীর বাইরে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বকরির চামড়া দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ও মহিষের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র:এনটিভি