চাপাইনবাবগঞ্জের দুটি আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আ.লীগ নেতারা মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সংসদ থেকে বিএনপির যে সাত এমপি পদত্যাগ করেন, তার মধ্যে  ‍দু‘জন রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের।  এ আসন দুটির সংসদ সদস্যরা (এমপি) পদত্যাগ করায় সেখানে উপনির্বাচন হবে। আসন দুটি হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-ভোলাহাট-নাচোল)। এ আসন দুটির এমপি ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-ভোলাহাট-নাচোল) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তারা পদত্যাগ করায় আসন দুটিতে উপনির্বাচনে অংশ নিতে সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা জোরেশোরে মাঠে নেমে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা যেমন আছেন তেমনি আছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী নতুন কিছু মুখও।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে হারুন এক লাখ ৩৩ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। পরাজিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৯৩৮ ভোট। ওদুদের চেয়ে হারুন ৪৭ হাজার ৭২৩ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। পরাজিত হলেও ওদুদ তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ আসনের উপনির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। পুরোনো প্রার্থী হিসাবে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলেও আশা করছেন। এ আসনে বিএমএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ জেলা শাখার সভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. রাব্বানী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন। চিকিৎসাসেবা ছাড়াও করোনাকালে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্গত মানুষের মাঝে তিনি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রায় বিনামূল্যে অনেককে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগে তিনি পরিচিত মুখ। দলীয় নেতাকর্মীরাও তার কাছ থেকে বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে থাকেন।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনটি জামায়াত প্রভাবিত এলাকা। উপ-নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও প্রার্থী দেবে না ধরে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন। সংসদীয় এলাকার গ্রামাঞ্চলে তারা গণসংযোগ শুরু করেছেন। কোনো কোনো প্রার্থী ডিজিটাল মাধ্যমে ভোট চেয়ে প্রচারও শুরু করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (ভোলাহাট-গোমস্তাপুর-নাচোল) আসনে আমিনুল ইসলাম এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। পরাজিত প্রার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট পান। এ আসনটিও জামায়াত-বিএনপি প্রভাবিত এলাকা। ১০ ডিসেম্বর আমিনুল পদত্যাগ করার পর থেকে জিয়াউর রহমান মাঠে নেমে পড়েছেন। উপনির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক রফিকুল ইসলাম সৈকত জোয়ার্দ্দার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। সৈকতের নিজ এলাকা নাচোল। এলাকার উন্নয়নে তিনি কাজ করেছেন। সৈকত জোয়ার্দ্দার বলেন, দলের জন্য তার পরিবারের বিপুল ত্যাগ রয়েছে। দল তাকে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি আশাবাদী। এ কারণে তিনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ আসনে ভোলাহাটের আব্দুস সামাদ মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। তিনিও মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগে পদ না থাকলেও সামাদ সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি।

স/আর