চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ- সত্যায়িত করতে গিয়ে কর্মকর্তারা বিরক্তি প্রকাশ করেন। এতে তারা দুর্ভোগে পড়ে নিজেই সিল মেরে সত্যায়িত করেন। আধুনিক যুগে যে কেউ চাইলেই পাবলিক পরীক্ষার রোল নাম্বার বা অন্য তথ্য দিয়ে ফলাফল জেনে নিতে পারেন।
এসব তথ্য দিয়ে সত্যায়ন প্রক্রিয়া থাকা যৌক্তিক থাকা মনে করেন কিনা, প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমারও কথা। আমরা ছাত্রজীবনেও দেখেছি। একটা সিল দিয়ে মেরে দিলে তো হলো! কিন্তু আমারটা অর্জিনালি আছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ডিজিটালাইজেশনের যুগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন আমরা পরিবর্তনগুলো করছি। আমাদের বিগ ডাটা, ভোটার আইডিতে এগুলো সব থেকে যাবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেন, সেখানে কিন্তু আপনার সার্টিফিকেটগুলো, কোথায় কোথায় লেখাপড়া করেছেন, সব চলে আসবে। আপনি চাইলে অনেক ডাটা দেখে নিতে পারছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন এটা করব, তখন কোনো মানুষের একটা কোড নাম্বার থাকবে। সেই কোডটা দিলে কিন্তু অর্জিনাল কিনা আপনি দেখে নিতে পারছেন। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা (সত্যায়ন) অল্প দিনের মধ্যেই হবে। ডিজিটাল বেজড, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা কাজ সহজ হয়ে যাবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্টস বা সরকার ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমাদের যে বিষয়টি আছে এগুলো আমাদের মাথার মধ্যে আছে। আপনারা কিছু দিন দেখবেন এগুলো সবই ডিজিটালাইজড হয়ে যাবে এবং এটার কোনো প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, আমরা যত দ্রুত পারি এটার বিষয়ে কাজ করে সহজিকরণ করে দেব, যাতে কারো ভোগান্তি না থাকে। ’
বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক সংলাপ সঞ্চালনা করেন।