চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেলের সম্পত্তিতে আওয়ামী লীগ নেত্রীর তিন বাড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেদখল হয়ে আছে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জমি। আর রহনপুর স্টেশনটিকে ঘিরে বাংলাদেশের সাথে ৩টি দেশের বাণিজ্য হয়ে থাকে। ত্রিদেশীয় বাণিজ্যের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পাথর, গম ও সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে।

আর এখানে রেলের প্রায় ৩৭৮ দশমিক ৮৮ একর জমি রয়েছে। অনেক জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি, দোকান ও মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েককবার উচ্ছেদ অভিযানে নামলেও অজ্ঞাত কারণে আর তা হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে- জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হালিমা খাতুন রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের জমি দখল করে অবৈধভাবে ৩টি বাড়ি গড়ে তুলেছেন। অথচ তিনি রেলবন্দর বাস্তবায়ন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত।

সরকার শুল্ক স্টেশন হিসেবে আমনুরা জংশনকে ঘোষণা করলেও রহনপুরের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিসহ জনগণ রহনপুরকেই পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরের দাবিতে আন্দোলন করে। এ আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন হালিমা খাতুন। অথচ রেলের জমিতে তার ৩টি বাড়ি রয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে- আন্দোলনে তিনি সোচ্চার থাকলেও অন্তরালে তার দ্বৈতনীতি থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা হতাশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, হালিমা খাতুন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে তার অনেক ক্ষমতা। তিনি রেলওয়ের জমি দখল করে বাড়ি গড়ে তুলেছেন। ভয়ে অনেকেই তাকে কিছু বলতে পারে না।

রহনপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, হালিমা খাতুন সে বাড়িগুলো ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। শুধু হালিমা খাতুন নয়, রেলের জমিতে যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছেন, তারা অনেকেই রেলবন্দরের বিরোধিতা করছেন।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন বলেন, রেলওয়ের কোন জায়গা দখল করা হয়নি। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অনেকেই উঠে পড়ে লেগেছে। এদিকে রহনপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মির্জা কামরুল হক বলেন, রেলওয়ের জায়গা অনেকেই দখল করে রেখেছে, শুধু রেলের জায়গা হালিমা খাতুন নয় অনেকেই দখল করে বাড়ি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব জায়গা উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেবেন।

জি/আর