চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন নারী মানসিক রোগীকে অর্থ প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একই পরিবারের তিন নারী মানসিক রোগী শিরোনামে একাধীক সংবাদ প্রকাশের পর পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন কুমিল্লার বাসিন্দা স্পেন প্রবাসী মো.আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার পাঠানো ১০ হাজার টাকা শুক্রবার বিকেলে বটতলা হাটে গিয়ে পরিবারটির হাতে তুলে দেন দৈনিক মানবজমিনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো.তারেক রহমান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.আবদুল বারেক,স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ মতিউর রহমান ও আবু বাক্কার।
প্রসঙ্গত,তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে জেবুননেসার সংসার। ৪৫ বছরের জেবুননেসা এখন ভারসাম্যহীন। পাশাপাশি দুই মেয়ে হাসিনা ও হাসবিয়াও বদ্ধপাগল। ১৬ বছরের ছোট মেয়ে কিসমত আরা স্বাভাবিক জীবনে থাকলেও পারিবারিক কারণে যে কোন মুহূর্তে মানসিক রোগী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ছোট মেয়ে কিসমত আরা স্কুলে যাতায়াত করলেও পলিথিন মোড়ানে কুঁড়েঘরে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই। একমাত্র ছেলে রমজান আলী রাজমিস্ত্রির জোগানদাতা হিসেবে অনিয়মিত কাজ করে।
এক কথায় পুরো পরিবার মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পলিথিন মোড়ানো কুঁড়েঘরের মধ্যে সবাইকে থাকতে হয়। এই অসহায় পরিবারটির বসবাস চাঁপাই নবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বটতলা হাটসংলগ্ন জোড়গাছির মোড়ল পাড়ায়।
জানা গেছে, দুই মেয়েসহ জেবুননেসা পাগল হওয়ার কারণে সেই ঘরে ছোট মেয়ে কিসমত আরার পড়ার পরিবেশও নেই। বর্তমানে স্থানীয়রা আধাপাকা টিন শেড ঘর করে দিয়েছেন।
সংসারে সাড়ে তিন বছর আগে একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামী দিনমজুর আবদুল হান্নান মারা যাওয়ার পর থেকেই টানাপোড়ন শুরু হয়। বড় মেয়ে হাসিনা ১০ম শ্রেণি হতে পড়াশোনা করার পর শোকে তাপে বদ্ধপাগল হয়ে গেছে।
পরের বোন হাসবিয়া একইভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগল হয়ে সর্বক্ষণ কুঁড়েঘরের মধ্যে পড়ে থাকে। জেবুনসেনা স্বামীর মৃত্যুর শোকে তাপে পাগল হয়ে বাড়িতে থাকলেও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ করে থাকে। তবে মহল্লাবাসী উদ্যোগী হয়ে পরিবারটিকে দেখভালের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক মানসিক রোগী নিয়ে।
স/শ