চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘুষ নিয়ে নিম্নমানের খালি বস্তা কেনার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নতুন বস্তার জায়গায় পুরাতন ও নিম্নমানের খালি বস্তা কেনার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. সিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের মেসার্স হাফসা টেক্সটাইলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার ২ লাখ পিস খালি বস্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সরকারি খাদ্য গুদামের জন্য সংগ্রহ করা হয়। দুই লক্ষ পিস বস্তার মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস পুরাতন এবং বাকি ৮০ হাজার পিস বস্তা দীর্ঘদিন আগের নতুন বস্তা। এমনকি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেনা বস্তাগুলোর ওজন ৩১৪ গ্রাম হওয়ার কথা থাকলেও তা রয়েছে ২৬০-২৬৫ গ্রাম।

খালি বস্তা কেনায় বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ১২ জুলাই একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খাদ্য বিভাগের সাথে মেসার্স হাফসা টেক্সটাইলের চুক্তি অনুসারে নাম, ঠিকানা ও উৎপাদন মাস সম্বলিত স্টেনশীল প্রতিটি বস্তা সরবরাহ করবেন৷ কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে নিম্নমানের খালি বস্তা কিনেছেন সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. সিহাব উদ্দীন। নিম্নমানের খালি বস্তা কেনায় তাকে সহযোগিতা করেছেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোজাম্মেল হোসেন।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়েছে, দুই লক্ষ পিস খালি বস্তার দাম প্রতিটি ৩৯ টাকা নেয়া হলেও, সরবরাহ করা হয়েছে ১৭ টাকা মূল্যের নিম্নমানের বস্তা। এছাড়াও খুলানার আইয়ান জুট মিলস হতে আরো ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস খালি বস্তা কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়। খালি বস্তা কেনায় দুর্নীতি-অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে আমনুরা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক খন্দকার সাব্বির আহমেদের বক্তব্যে।

তিনি জানান, আমার এখানে যে ৩৪ হাজার পিস খালি বস্তা পাঠানো হয়েছে, তার কিছু অংশ খুলে দেখেছি, সেগুলো পুরাতন ও নিম্নমানের। নিম্নমানের খালি বস্তা হওয়ায় সেগুলো ফেরত পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে কোন কথা বলতে নারাজ সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. সিহাব উদ্দীন। সরাসরি অফিসে গেলে তিনি বলেন, এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি নিজেই বিষয়টি জানার পর তদন্ত করে এতে কোন নিম্নমানের খালি বস্তা পায়নি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে বলেন, এবিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পায়নি।