চতুর্থ শিল্পবিপ্লব: আমরা কতটা প্রস্তুত


সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

পরাধীনতার কারণে ও শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকায় প্রথম শিল্প বিপ্লবের (বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার ও উৎপাদনশীলতার যান্ত্রিকীকরণ) সুবিধা আমরা নিতে পারিনি। একই ধারাবাহিকতায় চলে গেছে দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব (উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বৃদ্ধিতে বিদ্যুতের আবিষ্কার ও ব্যবহার)। স্বাধীনতা লাভের কারণে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের (কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা স্বয়ংক্রিয়করণ) লেজের দিকে এসে আমরা এর ছিটেফোঁটা ধরতে পেরেছি। ইতোমধ্যে স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণজয়ন্তী আমরা যখন পালন করেছি, তার কিছু আগে থেকেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পদধ্বনি শোনা গেছে। এখন আমাদের অনেকের, বিশেষ করে সচেতন শিক্ষিত শ্রেণির, মুখে মুখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ডাক। সরকারের বিভিন্ন ফোরামেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি। উদ্দেশ্য, এ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা যেন কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয়।

বর্তমান সময়ে বসবাসের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির কত রকম জাদুকরী কার্যকলাপ ও ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু সবটাই দেখতে পাচ্ছি কি? নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ‘না’। কারণ সবসময় প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলো স্বাভাবিকভাবেই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের সর্বশেষ আবিষ্কৃত প্রযুক্তি গোপন বা সীমাবদ্ধ রাখে। পরে যখন ওই প্রযুক্তির পর আরও উন্নততর প্রযুক্তির সোপানে তারা উঠে যায়, তখন ইতোপূর্বেকার পুরোনো প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে তারা প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়। আর এভাবে তারা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের বাজারেই শুধু পরিণত করে না, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এসব দেশের ওপর বহুবিধ প্রভাব বিস্তার করে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এর ব্যতিক্রম নয়।

ইন্টারনেট প্রযুক্তির কথাই বিবেচনা করা যাক। ইন্টারনেটের প্রথম আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরু হয় গত শতকের সত্তর দশকের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে, যখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে তাদের ঠান্ডা লড়াই চরমে। মূলত সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার সঙ্গে গোপনে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও সামরিক তথ্য ভাণ্ডারের বিকল্প সুরক্ষার (ব্যাকআপ) তাগিদে। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহার বিস্তার লাভ করে। সেই ইন্টারনেট প্রযুক্তি আমরা পেলাম নব্বই দশকের মাঝামাঝি এসে। একই কথা প্রযোজ্য প্রথম শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালিত ছাপাখানা, রেল যোগাযোগ ইত্যাদি থেকে শুরু করে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের কম্পিউটার, মোবাইল পর্যন্ত।

অনেক প্রতিবন্ধকতার কারণেই বাংলাদেশের মতো দেশগুলো শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাতারে যাওয়া তো দূরের কথা, ধারে কাছেও যেতে পারছে না। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুদৃঢ় সদিচ্ছা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে সমানভাবে দায়ী করা গেলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মুখ্য। কারণ সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আর্থিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিমুখী, প্রযুক্তিনির্ভর এবং প্রযুক্তির ধারক-বাহক হয়ে উঠতে এখনো সক্ষম হয়নি। আর তা যতদিন না হবে, ততদিন আমাদের প্রযুক্তির খরিদ্দার রাষ্ট্র (Client State) হয়েই থাকতে হবে, হয়তো অতীতের মতোই, এর থেকে অতি বিলম্বে কিছু চুইয়ে পড়া সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং দেশের উন্নয়নের প্রয়োগের মূল ধারায় সম্ভব হবে না।

পৃথিবীর কমপক্ষে তিনটি রাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইজরায়েল, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে স্বাধীনতা অর্জনের এক প্রজন্মের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ তিনটি রাষ্ট্র থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে, যদি আমরা নিতে চাই। বিশেষ করে বলব সিঙ্গাপুরের কথা। কারণ এ দেশের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছুর মিল আছে। যারা সিঙ্গাপুরের ইতিহাস জানেন, এমন ব্যক্তিরা দেখেছেন এবং অনুধাবন করেছেন, কীভাবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সুদৃঢ় এবং প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতৃত্ব সব বাধা পেরিয়ে এক সময়ের অতিদরিদ্র মৎস্যপল্লি এ দেশকে সর্বক্ষেত্রে অন্যতম উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ এ দেশটি এখন পৃথিবীর প্রথম কাতারের একটি। যে তিনটি দেশের কথা বলা হলো, তাদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরকে (যেহেতু ইজরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই) যথাযথ অনুসরণ করে ও তাদের কাছ থেকে যথাযথ শিক্ষা নিতে পারলে আমাদের পক্ষেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ নিয়ে একই কাতারে যাওয়া অসম্ভব মনে হয় না।

এ কথা এখন সর্বজন স্বীকৃত যে, রাষ্ট্র উন্নত হয় শিক্ষিত ও দক্ষ জনবল দ্বারা। আরব রাষ্ট্রগুলো তেল সমৃদ্ধ হয়ে আর্থিকভাবে উন্নত হলেও সামগ্রিকভাবে এদের, ইরান ব্যতীত, উন্নত বলা যায় না। এর থেকে বোঝা যায়, শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেই উন্নত রাষ্ট্র হওয়া যায় না। যদিও তেল না থাকলেও অনেক প্রাকৃতিক সম্পদে বাংলাদেশও কম সমৃদ্ধ নয়। ঘুরে ফিরে একই কথা, এসব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলেও প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠীর। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কোথায় তা দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত পোশাক শিল্পের মালিকদের বক্তব্য থেকেই শোনা যায়। দক্ষ জনবলের অভাবে এ খাতের উচ্চ বেতনের পদগুলো এখন ভারত ও শ্রীলংকার দখলে। আর দেশে কর্মহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত লাখ লাখ বেকার।

এ যখন অবস্থা, তখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কী করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রথম ধারণা দেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ সোয়াব ক্লাউস ২০১৬ সালে। এটি হবে এমন এক শিল্প বিপ্লব যা আমাদের অতীতের সব ধারণাকেই সম্পূর্ণ পালটে দেবে। আকারে, ব্যাপ্তিতে এবং জটিলতায় এটি হবে আগের সব শিল্প বিপ্লব থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। আর এটি বাস্তবায়িত হবে অতি দ্রুততার সঙ্গে। ধারণা করা হয়, আগামী বিশ বছরের মধ্যে। এর প্রধান খাতগুলো হবে ডিজিটাল সরবরাহ ব্যবস্থা, যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো, বিগ ডাটা প্ল্যাটফর্মস, ডিজিটাল টুইন, থ্রিডি প্রিন্টিং, রোবোটিক্স, ড্রোন, সেন্সর প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন শিক্ষণ (Machine Learning), অগমেন্টেড রিয়ালিটি, ন্যানো প্রযুক্তি, ব্লকচেইন ইত্যাদি। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্ম বা তার পরের প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা। বিশ্বের অনেক দেশে এ গতির ইন্টারনেট ইতোমধ্যে চালু হলেও বাংলাদেশ গত বছর কেবল রাষ্ট্রীয় খাতের মোবাইল কোম্পানি টেলিটককে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। অবশ্য ইতোমধ্যে এজন্য একটি বড় আকারের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এখন প্রশ্ন হলো, ওপরের অনুচ্ছেদে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির যেসব প্রধান খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোতে আমাদের বর্তমান জনশক্তি কতটা দক্ষতা অর্জন করেছে বা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যতদূর জানা যায়, এসব প্রযুক্তির বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো কিছু পড়ানো হয় না, বুয়েটে কিছুটা পড়ানো হলেও তা খুবই সীমিত আকারে এবং যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বেশ অপ্রতুল। নীতিনির্ধারকরাও এসব বিষয়ে এখনো কেবল ভাসা ভাসা জানেন। ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেলেও আমাদের এখনো তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। যদিও উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মতো দেশগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বেশ আগেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়াদি সিলেবাসভুক্ত করে দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এসব দেশ ইতোমধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে একটি অকল্পনীয় অথচ স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা (সমাজ ৫.০) গড়ে তুলবে। যার সঙ্গে অতীতের কোনো সমাজ ব্যবস্থার মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা সমাজ ব্যবস্থাকে প্রযুক্তির আলোকে সমাজ ১.০ (পশু শিকার), সমাজ ২.০ (কৃষিনির্ভর), সমাজ ৩.০ (শিল্পায়ন), সমাজ ৪.০ (তথ্যপ্রযুক্তি) হিসাবে শ্রেণিবিভক্ত করেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সমাজ ৫.০ হবে একটি স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় আমাদের চারপাশে যত বস্তু বা প্রাণী আছে সব হবে আইওটি এনাবল্ড (IOT Enabled) অর্থাৎ সবকিছু সবকিছুর সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে এবং এগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে, ব্যবহারকরীদের হস্তক্ষেপ হবে খুবই সীমিত বা শূন্য। বর্তমানে বিরাজমান অধিকাংশ সামাজিক সমস্যার সহজ সমাধান হবে, রোবটের মাধ্যমে মানুষ তার শারীরিক ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে অনেক বেশি পরিমাণে উৎপাদনশীলতা অর্জন করবে এবং যেখানে মানুষ তার চিন্তার সীমাবদ্ধতার কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম হবে সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবে।

তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সবকিছুই ভালো এমনটি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না। এর ফলে সামাজিক অসাম্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, শ্রমবাজার সংকুচিত হতে পারে, অনেকেই বেকার হয়ে পড়তে পারে এবং ‘যত বেশি দক্ষ ততবেশি সুবিধা ও যত কম দক্ষ তত কম সুবিধা’ ধরনের সামাজিক বৈষম্য প্রকট হতে পারে। তা ছাড়া যথাযথভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে না পারলে অনেকে এ রকম একটি জটিল সমাজ ব্যবস্থায় নিজেকে অনুপযুক্ত বিবেচনা করে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যেতে পারেন। ফলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

সুতরাং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা নিতে হলে বাংলাদেশকেও অতি দ্রুত এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে, আগ্রহী মেধাবী ছাত্র ও শিক্ষকদের বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে সেগুলো পরিচালনার জন্য এবং তাতে গবেষণার জন্য যোগ্য ও মেধাবীদের নিয়োজিত করতে হবে। প্রয়োজনে বুয়েটসহ যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাদের দেশে রেখে জুতসই কাজে যুক্ত করতে এবং উপযুক্ত সুবিধাদি দিতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত মেধাবী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে এবং এজন্য উৎসাহব্যঞ্জক উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য অবশ্যই সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে যাতের তদবির নামের ব্যাকটেরিয়ায় তা আক্রান্ত হয়ে অযোগ্যদের হাতে পড়ে অতীতের অনেক শুভ উদ্যোগের মতো ভেস্তে না যায়। একই সঙ্গে এর জন্য সরকারের যেমন বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে, তেমনি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর