চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মান পরীক্ষার নির্দেশ

চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)’র পানির মান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেজন্য স্থানীয় সরকার সচিবকে একটি কমিটি গঠন করে দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ল্যাবরটরি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরির একজন করে প্রতিনিধি কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। গঠনের এক মাসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ, তিন বছর আগে ঢাকা ওয়াসা পানির মান নিয়ে তিনিই রিটটি করেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী তানভীর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসা পানির ১০টি উৎসস্থল, ১০টি বিতরণ জোন ও দৈবচয়নের ভিত্তিতে যেকোনো চার জায়গা সরবরাহ পানির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে কমিটিকে। ‘

বাংলাদেশের পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দারিদ্র্য নিয়ে ২০১৮ সালে বিশ্ব ব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর ঢাকা ওয়াসা পানির মান পরীক্ষায় চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেওয়ার পাশাপাশি রুল দেন হাইকোর্ট।

ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের মধ্যে তিনটি এলাকার পানিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ‘কলিফর্ম’ ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয় ওই বিশেষজ্ঞ কিমিটি। পরে ঢাকা ওয়াসা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, দশটি বিতরণ জোনের মধ্যে যে তিনটি এলাকার পানিতে জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কলিফর্মসহ ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ ধরা পড়েছে, তা দূর করতে কাজ চলছে।

এরপর রুল শুনানিতে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির প্রসঙ্গ আসে। পরবর্তীতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানির পর এবার চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মান পরীক্ষা নির্দেশ দিলেন উচ্চ আদালত।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ