গ্যালারি মাতিয়ে শেষ চারে রংপুর রাইডার্স

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ মানেই যেন টানটান উত্তেজনা। উন্মাতাল গ্যালারি। আসল টি-টোয়েন্টির মজা। প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হয় ম্যাচের গতি। অপেক্ষা থাকে শেষ মুহূর্তের উত্তেজনার। আজ অবশ্য শেষ ওভারের আগেই উত্তেজনার সমাপ্তি হয়ে গেল। শেষ ওভারের আগই বিজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল রংপুর রাইডার্সের। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে ১৯ রানে হারিয়ে শেষ চারের পৌঁছে গেল মাশরাফি বাহিনী।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে খুলনা টাইটানস। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাইকেল ক্লিঞ্জার মিলে ৬০ রানের জুটি উপহার দেন। নাজমুল ইসলামের বলে শান্ত (২০) বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।

দলীয় ৭১ রানে সোহাগ গাজীর বলে মাশরাফির দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ হোসেন (৮)।

খুলনার শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন রবি বোপারা। ৪৫ বলে ৪৪ রান করা ক্লিঞ্জারকে মাশরাফির তালুবন্দি করেন তিনি। দলের অন্যতম নির্ভরতা অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে মাত্র ৮ রানেই বোল্ড করে দেন নাহিদুল। জমে ওঠে লড়াই। যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায় রংপুরের বোলাররা। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন নিকোলাস পুরান (১) এবং কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (৬)।

এর মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আরিফুল হক এবং আর্চার। ইসুরু উদানার এক ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেন আর্চার। কিন্তু ওই ওভারেই রবি বোপারার দারুণ তৎপরতায় রান আউট হয়ে যান ১৯ রান করা আর্চার। আরিফুল হক (৬) বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগেই তাকে ম্যাককালামের ক্যাচে পরিণত করেন বোপারা। শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি মাহমুদ উল্লাহ বাহিনী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ১২৮ রান তুলতে সক্ষম হয়।

এর আগে আজ রবিবার দিনের দ্বিতীয় খেলায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। সাবধানী শুরুর পর আবু জায়েদকে ছক্কা মেরে চাপ দূর করতে চেয়েছিলেন জিয়াউর। কিন্তু পরের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দেন তিনি। তখন থেকেই হাত খুলতে শুরু করেন গেইল আর ম্যাককালাম। কিন্তু আবারও ছন্দপতন!

শফিউলের বলে টাইমিং মিস করেন কিউই হার্ডহিটার। চোখ জুড়ানো ক্যাচ নিয়ে ম্যাককালামকে (১৫) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান আরিফুল হক। ক্রিস গেইলের মহামূল্যবান উইকেটটি বগলদাবা করেন মোহাম্মদ ইরফান। তার বলে আবু জায়েদের তালুবন্দি হন ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করা ক্যারিবীয় দানব। চলতি আসরে ধারাবাহিক রান করে যাওয়া রবি বোপারাকে (১১) বোল্ড করে দেন আর্চার।

একপ্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাট করছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন। অপর প্রান্ত থেকে পরপর বিদায় নেন কাপুদেগেরা (২) এবং নাহিদুল ইসলাম (৬)। শিকারী যথাক্রমে ব্র্যাথওয়েট এবং আর্চার। উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। শুরু হয়ে মিথুন-ম্যাশের তাণ্ডব। সেই তাণ্ডবেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় রংপুর। শেষ বলে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মিথুন। তিনি ৩৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৪ ওভার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন। অপর প্রান্তে ১১ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি।