গোদাগাড়ী কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

সদ্য জাতীয়করণ প্রক্রিয়াধীন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মছিল করেছে ছাত্রলীগ।

বুধবার বেলা ১১ টায় গোদাগাড়ী কলেজ ক্যাম্পাসে গোদাগাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও অত্র কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ মমিনের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

মিছিলটি প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপি কলেজের বিভিন্ন ভবন প্রদক্ষিণ করে। এই সময় শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে রহমানকে হঁটাও কলেজ বাঁচাও, দেখ রহমান দেখে যা রাজপথে তোর বাপেরা, রহমানের কালোহাত ভেঙ্গেদাও গুড়িয়ে দাও, রহমানের দূর্ণিতী চলবে না চলবে না, এ্যাকশন এ্যাকশন ডাইরেক্ট এ্যাকশন সহ নানান স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি গোদাগাড়ী সদরের শহিদ ফিরোজ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে গোদাগাড়ী উপজেলা ইউএনও অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মমিনসহ সকলের সাথে কথা বলে জানাযায়, অধ্যক্ষ রহমান একজন দূর্ণিতীবাজ শিক্ষক। সে কলেজে নানান দূর্ণিতি করে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। আমার কলেজের শিক্ষার্থী, সরকার হতে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয় কিন্তু আমাদের দেওয়া হয়না। আমরা ছাত্রলীগ করে সরকার দলীয় ছাত্রনেতাদের কোন কথা বা দবি শোনে না বরং জামায়াত-শিবির, বিএনপিরদের সুযোগ সুবধিা প্রদান করে। সে জামায়াতের গডফাদার তাকে অপসারণ না করা হলে কলেজ কে দূর্ণিতিমূক্ত করা যাবে না।
তারা আরও অভিযোগ করে আমার ভালভাবে কোন দাবি বা কথা বলতে গেল খুবই খারাপ ব্যবহার করে। তার মাঝে শিক্ষকের কোন আচরণই নাই। কিছু দিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেল খাটিয়েছে তার কোন অনিয়ম আর সহ্যা করা হবে না। অধ্যক্ষর দ্রুত অপসারণ না হলে আমাদের বিক্ষোভ অব্যহত থাকবে এবং কলেজে কোন ক্লাস চলতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন।

জানাযায় আজ বুধবার ছাত্রলীগে কলেজে কোন ক্লাস করতে দেয় নি ফলে একরকম অচল হয়ে পড়ে কলেজ।

গোদাগাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমানে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপবৃত্তির কোটা নিয়ম অনুযায়ী পূরণ করা হয়েছে এখানে কোন অনিয়মের ব্যাত্যয় ঘটে নি। ছাত্রলীগের ছেলেদের চার জনকে উপবৃত্তির ব্যবস্থাকরা হয়েছে। ছাত্রদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় এমন অভিযোগ আছে এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

স/আ