গোদাগাড়ীতে ছয়টি দোকানে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আটক ৩

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ছয়টি দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের সাখোয়াত হোসেনের ছেলে শানওয়ার হোসেন বিদুৎ (৩০) তার ভাই সাগর হোসেন (২৭) ও রাজাবাড়ী গ্রামের মুসলেমউদ্দীনের ছেলে রুহুল আমিন(৩৩)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের কুমোরপুর বাজারের অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পিকাপ ভ্যান যোগে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারের বদর আলী ও টিয়ার ধানের আড়ৎ , বাহাদুরের কাপড়ের দোকান, শাহীন কামালের সার ও কীটনাশক সিনেজেন্টার বিক্রয় কেন্দ্র, আল-আমিনের ঔষুধের দোকান,নিশাতের পানের দোকান ও জুয়েল টেলিকমে প্রধমে ভাঙচুর ও লুটপাট করে যাওয়ার সময় অগ্নিসংযোগ ঘটায়। পরে গোদাগাড়ী দমকল বাহীনির সদস্যরা আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এর আগে দোকানগুলো সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কাপড়ের দোকানদার বাহাদুর বলেন, দোকানে ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। আর শাহীন কামালের সোয়া ১ লক্ষ টাকার সার ও কিটনাশক লুট হয়ে যায়। বদর আলীর ১০ লক্ষ টাকার ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর থেকে এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করায় দোকানপাট বন্ধ থাকে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকেরা জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমোরপুর আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন জামায়াত-বিএনপি সমর্থকদের হামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান আহত হন। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে ৬টি দোকানে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটতে পারে । তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার কেউ জড়িত নয়। কোন নেতার ব্যক্তিগত আক্রশে বহিরাগতরা ঘটনা ঘটিয়েছে। এর জন্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ দায় দায়িত্ব বহন করবে না।
এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা বের করতে পুলিশ তদন্ত করছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) খুরশিদ আলম, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে বিকেল থেকে দোকানপাট খোলা শুরু করে ব্যবসায়ীরা। তবে ওই ৬টি দোকান বন্ধ ছিল।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স/শা