বগুড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আ’লীগ নেতার মৃত্যু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ার কাহালুতে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও মারপিটে গুরুতর আহত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি সদস্য নাজমুল হুদা ডুয়েলের (৩৮) মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দুপুরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউ থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এজাহার সূত্র জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১টার দিকে বাগইল কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর বাগইল গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে পাইকড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমুল হুদা ডুয়েল ও একই দলের মাহবুবর রহমান কেন্দ্রের কাছে বসে গল্প করছিলেন।

এ সময় তাদের পাশ দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী আসামিরা যাচ্ছিল। তারা আজিজুর রহমানদের উদ্দেশ করে ভোট সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে তারা আজিজুর, ডুয়েল ও মাহবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে বেদম মারপিট করেন।

আহত তিনজনকে কাহালু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আজিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ডুয়েল ও মাহবুবকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডুয়েল হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।

কাহালুর পাইকড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিঠু চৌধুরী জানান, ডুয়েলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।

মিঠু চৌধুরী আরও জানান, ময়নাতদন্ত ও সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে ডুয়েলের লাশ বগুড়ার কাহালুর বাগইল গ্রামের বাড়িতে আনা হবে।

এদিকে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা ডুয়েল খুনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কাহালু থানার ওসি শওকত কবির জানান, ডুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে এজাহার করতে হবে না। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি তিন বিএনপি নেতাকর্মী বাগইল দক্ষিণপাড়ার মকবুল হোসেন, বেঞ্জার রহমান ও মিনহাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।