গোদাগাড়ীতে খাস জমি ৯ জনের কাছে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ভূমিহীনদের অনুকূলে সরকারের থেকে দেওয়া ৭১ শতক খাস জমি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে অলিপুর মৌজায়। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর (৬নম্বর ওয়ার্ড) গ্রামের ভূমিহীন বাসিন্দা হিসেবে মৃত.আমজাদ আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী মোহনপুর ইউনিয়নের অলিপুর মৌজায় ৯৯ বছরের জন্য বন্তোবস্ত নেন ।

আর জমি প্রতি কাঠা ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছে ৯ জনের কাছে এমন অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। বছরের পর বছর এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল গোদাগাড়ী ভূমি অফিস থেকে কম টাকায় খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়ে চড়া দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি জমিগুলো এক হাত থেকে অন্য হাতে গিয়ে বেহাত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়, সরকারি খাস জমির বিএস খতিয়ান নং- ১, সাবেক দাগ নং-৬৩ হাল দাগ নং-৩২ জমির পরিমান ৬১ শতক (পতিত), ও ৪৩ নং দাগে (ভিটা) জমির পরিমান ১০ শতক। জেএল নং-৬০ মধ্য বর্নিত তফসিলের জমি গুলোর পি এস নং ৭৫/ঢওও/৯০-৯১, টিও কেস ২৯/ঢওও/৮৬-৮৭ এর ৭১ শতক জমির মধ্যে ১২ শতক জমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কর্তৃক মালিকাধীন বিএস খতিয়ানভুক্ত সরকারি ৭১ শতক জমি দখল পূর্বক জমি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জমি ক্রেতারা হলেন- উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের তিন ছেলে বাবু, ভুটু, মাতিন, গোলাম রব্বানীর ছেলে সবিল, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রমজান, নজরুল ইসলামের ছেলে বাবু, মৃত এন্তাজের ছেলে মাইজুল, বাবলু, শরতির ছেলে শফি । এরা প্রত্যেকে কাঠা প্রতি ২০ হাজার টাকা দরে এই জমি গুলো ক্রয় করে ।

ক্রেতা বাবু বলেন, গত চার বছর আগে সরকারী সম্পত্তি মনে করে আমরা এই জমিতে সবাই বাড়ী তৈরী করি। জমির মালিক গোলাম রব্বানী আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এতে করে আমরা জেল খাটি এবং বাড়ীগুলো সরিয়ে ফেলি। এরপর স্থানীয় আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যেমে বিক্রির প্রস্তাব করে আমাদের কাছে। আমরা প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জমি গুলো ক্রয় করছি। বুঝিয়ে দেওয়ার নামে টালবাহানা করছে গোলাম রব্বানী।

এ বিষয়ে গোলাম রব্বানি বলেন, বিক্রির আদেশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি, পরের জমিতে নাক গলানোর আপনি কে। আপনার সাথে কোন কথা নাই বলে ফোন কেটে দেন।

সহকারি কমিশনার(ভুমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন, সরকারী বন্তোবস্ত খাস জমি বিক্রি করার কোন নিয়ম নাই। কেউ সরকারি খাস জমি বিক্রির অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থাগ্রহন করা হবে।

স/আ