গোদাগাড়ীতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার ৫০ হাজার টাকার হদিশ নাই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে করোনা ভাইরাস দুর্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকার হদিশ নেই। এতে করে গরিব মানুষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দোকান বন্ধ, সামাজিক দুরত্ব বজায় কারণে শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়েছে। এ সব মানুষের জন্য উপজেলায় ৪৪ টন চাউল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু শ্রমজীবিদের পরিবারকে ১০ কেজি করে চাউল দেয়া হলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান দেয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে শুধু মাত্র চাউল দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকা দেয়া হয়নি। টাকা পাওয়া গেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান ক্রয় করে চাউলের সঙ্গে দেয়া যেত। কিন্তু তাৎক্ষনিকভাবে গরিব মানুষকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দেয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন আরো বলেন, বাড়ী বাড়ী চাউল পৌছে দিতে গিয়ে চেয়ারম্যানদের ৩ থেকে ৪ হাজার খরচ হয়েছে। ব্যাক্তিগতভাবে চেয়ারম্যানরা খরচ করলেও সরকারিভাবে র্বাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা সম্পর্কে কিছুই বলছে না উপজেলা প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাসির বলেন, সরকারি অনুদান বরাদ্দের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউপি চেয়ারম্যাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। সে মোতাবেক চাউল দেয়া হলেও বরাদ্দকৃত টাকা দেয়া হয়নি। বরাদ্দৃত ৫০ হাজার টাকা অন্য কাজে খরচ দেখনো হয়েছে। নিয়ম রয়েছে সরকারের এক প্রকল্পের অর্থ অন্য কোন খাতে ব্যয় যাবে না। তবে কোন খাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

এদিকে আজ বুধবার নতুন ভাবে উপজেলায় ২২ টান চাউল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে।এই বরাদ্দকৃত চাউলের জন্য চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তালিকা তৈরীর কথা বলা হলেও নতুনভাবে ৫০ হাজার টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা এখনো জানতে পারেনি ইউপি চেয়ারম্যানরা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, এই ৫০ হাজার টাকা ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে দেয়া হবে।

স/অ