গুরুদাসপুরে ট্যাংক থেকে শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার, আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে দৃষ্টি খাতুন নামের আড়াই বছরের এক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজার পাড়ায়  প্রতিবেশী প্রদীপ কুমারের বাড়ী থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী করে ট্র্যাংক আটকে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

এঘটনায় একই এলাকার প্রদীপ কুমার (৩৫), তার স্ত্রী রিতা রানী (৩০), ছেলে হৃদয় (১৬), ও ছোট ভাই বজ্র গোপাল (২৩) কে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারের লোকজন জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার নিজবাড়ী থেকে দৃষ্টি হারিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজির পর বিকেল ৫টার দিকে দৃষ্টির বাবা মোহন ঘোষ  নিখোঁখ হয়েছে মর্মে গুরুদাসপুর থানায় জিডি করেন। পুলিশ রাত থেকে প্রতিবেশীদের সব বাড়ী এক এক করে তল্লাশী করতে থাকে। শনিবার বিকেলে আবার তল্লাশী করতে গিয়ে প্রতিবেশী প্রদীপ কুমারের বাড়ীর শয়ন ঘরের খাটের নিচে ট্র্যাংক থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এঘটনায় আটককৃত রিতা রানী জানান, তার মেয়ে প্রীতির সাথে দৃষ্টি তাদের খাটের ওপর খেলতে ছিল। চুনুর কৌটা নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাট থেকে ঘরের মেঝেতে পড়ে মাথায় লেগে অচেতন হয়ে পড়ে মারা যায়। ওই সময় ভয়ে দৃষ্টিকে একটি বস্তার ভিতরে নিয়ে টিনের বাক্সের ডুকিয়ে রাখি। নিহত দৃষ্টির মা লক্ষীরানী ঘোষ তার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস জানান, নিখোঁজের অভিযোগ পাবার পর থেকে ওই পাড়ার সকল বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশী চালানো হয়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে প্রদীপের বাড়ী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় প্রদীপ ও তার স্ত্রী রিতাকে আসামী করে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।

স/অ