গিনির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে প্রচণ্ড গোলাগুলি

গিনির রাজধানীতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। রবিবার এ গোলাগুলি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সামরিক শক্তি দখল এবং অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কোনাক্রির কালৌম পাড়ার এক প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গুলি শুরুর সময় প্রেসিডেন্ট আলফা কনডে বাড়িতে ছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।

গত বছর তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কনডে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবিধানিক মেয়াদের সীমা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পরে অবশ্য তিনি চূড়ান্তভাবে পুননির্বাচিত হন, তবে এর পর বিরোধীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। কিন্তু তাতে বাধা দিলে সহিংস হয়ে ওঠে বিক্ষোভ। বিরোধীরা তাদের কয়েক ডজন কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করে।

১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় গিনি। এরপর দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কন্ডে ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসেন। অনেকে তার রাষ্ট্রপতি পদকে খনিজসমৃদ্ধ দেশের জন্য নতুন শুরু হিসেবে দেখেন। এর আগের কয়েক দশকের দুর্নীতিগ্রস্ত, কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা জর্জরিত দেশটি আশার আলে দেখে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন যে তিনি গিনিদের জীবনযাত্রার উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই দেশের বিপুল খনিজ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে।

এর আগে ২০১১ সালে আলফা কনডে একটি হত্যাকাণ্ডের প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। তখন বিদ্রোহী সৈন্যরা তার প্রাসাদে গুলি চালিয়েছিল।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন