গান গাইতে গিয়ে কুয়ায় পড়ে গিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক  :

গান গাইতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘সাবাস বাংলাদেশ’ সংগীতের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়া গানটির শিল্পী ফাহমিদা নবী, কোনাল, এলিটা করিম উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি গানের একজন ভালো শ্রোতা। মানুষ গান গায়। কিন্তু গানের বিদগ্ধ শ্রোতাও দরকার আছে। আমি গানের একজন ভালো শ্রোতা, এজন্য বলছি আমি প্রতিদিন মোটামুটি গান শুনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও। আমার পক্ষে সময় করে নেওয়া কঠিন হয়, রাতের বেলা গান শুনি ঘুমানোর আগে। সেজন্য ঘুমাতে একটু দেরিই হয়ে যায়। কাল এক ঘণ্টা দেরি হয়েছে।

jagonews24

তিনি বলেন, যখন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কোনো জায়গায় যাই, গাড়িতে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা তখন গান শুনি। আমার গান শেখার ইচ্ছা ছিল, শেখাটা হয়নি। একটি মজার ঘটনা আছে। হয়তো কেউ কেউ জানেন। আমার ছেলেবেলায় চট্টগ্রাম শহরে আমাদের যেখানে বাসা ছিল, একেবারে ছোটবেলায়, সেখানে কুয়া ছিল। ঢাকা শহরেও তখন (কুয়া) ছিল। তো কুয়া থেকে পানি তোলা হতো। এখন আর ঢাকা শহরেও নাই, চট্টগ্রাম শহরেও নাই। সেই কুয়ার মধ্যে মাথা দিয়ে গান করতাম।

‘একদিন এ রকম (কুয়ার মধ্যে) মাথা দিয়ে গান করতে গিয়ে কুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। এবং বাসায় কেউ ছিল না। আমার বাবা আইনজীবী ছিলেন। তিনি কোর্টে ছিলেন। আমার মা অসুস্থ, হাসপাতালে ছিলেন। বাসায় ১৭/১৮ বছরের একজন হাউজওয়াইফ ছিল সে ছিল, সে পড়ার আওয়াজটা শুনেছে। কিছু একটা পড়ে গেছে। দৌড়ে এসে সে তখন যে বালতি দিয়ে পানি তোলা হয় সেটা ফেলে, আমি তখন সেটা ধরে বসি, তখন সে টেনে তোলে।’

ড. হাছান বলেন, আমার মনে আছে, এত উপর থেকে পড়ে একেবারে কুয়ার বালি টাচ করেছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে। গান শিখতে না পারার একটা বেদনা আছে। অভিনয়ও করতে গিয়েছিলাম। আমি চট্টগ্রামে তীর্যক নাট্যদলের সদস্য ছিলাম। রোলটোল পাইনি, সেট টানাটানি ছাড়া। একটু রোল একটাতে মনে হয় পেয়েছিলাম। গান শেখাও হয়নি, অভিনয় শেখাও হয়নি। কোনোটাই হয়নি। আজ আপনাদের (গায়ক) সঙ্গে কাজ করার সুযোগটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে করে দিয়েছেন। অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করা, একই সঙ্গে গানের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এ কাহিনীগুলো জানেন না। এটা ঘটনাচক্রে হয়ে গেছে।

সাবাস বাংলাদেশ গানের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে এটা অসাধারণ গান। গানের মধ্যে কয়েকটি লাইন আছে আত্মমর্যাদার কথা। এই দেশটি আমাদের। আমাদের দেশ কীভাবে চলবে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, বাইরের কেউ নয়। সেই কথাটার ইংগিত এ গানের মধ্যে আছে।