গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে খাবার ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো বিমান থেকে খাবার সহায়তা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনটি সামরিক বিমান থেকে ত্রাণ সহায়তার অন্তত ৩০ হাজার খাবারের প্যাকেট ফেলেছে দেশটি।আজ রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের সামরিক বিমান থেকে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য এই খাবার নিচে ফেলে। এর আগে গাজায় প্রথমবারের মতো বিমান থেকে খাদ্য ফেলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

খাবারের প্যাকেটগুলো ফেলার জন্য তিনটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সাহায্যগুলো ঠিক কোথায় ফেলা হয়েছে তা জানা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ৬৬টি বড় কাঠের বাক্সে করে অন্তত ৩৮ হাজার খাবারের প্যাকেট ফেলা হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘স্থল করিডোর ও রুটের মাধ্যমে সাহায্যের প্রবাহ সম্প্রসারণসহ গাজায় আরও সাহায্য পাঠানোর টেকসই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিমান থেকে এই সহায়তা ফেলা হয়েছে।’

অবশ্য ফ্রান্স ও জর্ডানসহ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, বিমান থেকে সহায়তা নিচে ফেলা আসলে সাহায্য বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার একটি ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত হন।এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি। এরপরই অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজারের বেশি মানুষ।