গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২২

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) বিমান হামলায় ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। হামলায় শহরটির বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়।

জানা যায়, হামলার আগে স্থানীয় অধিবাসীদের কোনরকম সতর্ক করেনি আইডিএফ। ফলে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা সিটির প্রধান হাসপাতাল আল শিফার আশপাশে ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গাজার সিটির আল-শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলের দু’টি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন আর গাজা ভূখণ্ডের মধ্যবর্তী এলাকা আল মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও আটজন নিহত হয়েছে।
হামাস শাসিত গাজার তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-শেজাইয়ায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আছেন, তারা উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুতদের জন্য পাঠানো ত্রাণের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনীগুলো আল শিফা কমপ্লেক্সের আশপাশে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ‘বেসামরিক, রোগী, মেডিকেল টিম ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ক্ষতি কমানোর’ দিকে নজর রাখছে। শুক্রবার দিনভর সেখানে তারা বহু বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে এবং অস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামো খুঁজে পেয়েছে।

আল তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। জেরুজালেমের ওল্ড সিটির টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওই হামলা চালায় হামাস।

অন্যদিকে হামাসের হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। একইসঙ্গে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে গাজায় স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েল। এ ঘটনার জেরে পশ্চিম তীরেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।