গণভবনের গাছ কর্তন: রিমাণ্ডের আসামি সোহেল হ্যানকাফ ছাড়া আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোর উত্তরা গণভবনের গাছ কাটার মামলার আসামি ঠিকাদার সোহেল ফয়সালকে হ্যানকাফ ছাড়া ও মাত্র একটি পুলিশ কনস্টেবল দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তাহলে আসামি সোহেলকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শ নাসির উদ্দিন বলেন, চন্দ্র সাহ নামের এক পুলিশ কনস্টেবল সোহেল ফয়সালকে আদালতে নিয়ে এসেছে। ঠিকাদার সোহেল ফয়সালের হাতে হ্যানকাফ দেওয়া হয়নি কেনো? পুলিশ কনস্টেবলকে জানার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।

একটি অনলাইনে প্রকাশিক সাক্ষাত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, ‘কাউকে গ্রেফতার দেখাতে হলে হাতকড়া লাগাতে হবে। শুধু আদালতে গেলে তাদের হাত থেকে হাতকড়া খুলে দিতে হবে। এছাড়াও পুলিশ যদি মনে করে আসামিরা পালাবে না তাহলে হাতকড়া না লাগালেও চলে। তবে গ্রেফতারের সময় অবশ্যই হাতকড়া লাগাতে হবে, না হয় হাত চেপে ধরতে হবে।’

পরে আদালতে তার একদিনের রিমাণ্ডে মঞ্জুর হলেও তাকে একই ভাবে আদলত চত্বর থেকে নিয়ে যায় পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঠিকাদার সোহেল ফয়সালকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে।

উল্লেখ্য, নাটোরের উত্তরা গনভবনের ভিতরে সম্প্রতি ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া এবং মরে যাওয়া দুটি আম, একটি মেহগনিসহ কিছু গাছের ডালপালার কাটার টেন্ডারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী তাজা গাছ কাটে ঠিকদার। এই ঘটনায় ঠিকাদার সোহেল ফয়সালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলা প্রশাসনের সহকারী নাজির মমতাজ আলী।

পরে ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল গত ২৮ অক্টোবর আদালতে হাজির জামিন আবেদন করে পরে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ। একই ঘটনায় নাটোর গনপূর্ত বিভাগের তিন প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্তে রয়েছেন।

 

 

স/আ