গণপূর্তে পদায়ন ও পদোন্নতি যথাযথ নিয়ম মেনে করা হয়েছে : প্রতিমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান ও ওই পদে কর্মকর্তা পদায়ন যথাযথ নিয়ম ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধানের আলোকে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।

তিনি বলেন, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি বিধান প্রয়োগে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু সম্প্রতি কতিপয় সংবাদপত্রে  গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রদীপ কুমার বসুকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান ও তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের দায়িত্বে পদায়ন করা সম্পর্কে অসম্পূর্ণ, ভুল ও একপেশে তথ্য সম্বলিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত থাকালীন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ তার তত্ত্বাবধানে ত্রুটিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তাকে মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের ২৩ জুন তারিখের ৭৯ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন মারফত চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখের ৪৪৬ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন মারফত বিভাগীয় মামলার আদেশে তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয়া হয়। দণ্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণেরও দুই বছর পর, ৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে বিভাগীয় পদোন্নতি বোর্ডের  মাধ্যমে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, উক্ত বোর্ডের সদস্য হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত থাকেন। বোর্ডের সদস্যগণ প্রদীপ কুমার বসুর যোগ্যতা ও সকল বিধি বিধান পুঙ্খানূপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে তাকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, যে বিভাগীয় মামলায় কোনো সরকারি কর্মচারি সাজাপ্রাপ্ত হলে সাজার মেয়াদ শেষ হলে তার পরবর্তী পদোন্নতিতে উক্ত মামলা বা তার সাজাপ্রাপ্তি কোন অন্তরায় নয়। এক্ষেত্রে প্রদীপ কুমার বসুকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদানে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি বিধানের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি।

পরবর্তীতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রদীপ কুমার বসুকে ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকোশলী হিসেবে পদায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে তাকে উক্ত পদে পদায়ন করা হয়নি।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সকল সংবাদপত্র প্রদীপ কুমার বসুর পদোন্নতি ও পদায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ ও এতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করেছেন আগামী দিনে তাদের আরো দায়িত্বশীল, বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদারীত্বের সাথে ভূমিকা পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ