‘খোলা পিঠে’ মিথিলার মেরিলিন মনরোকে অনুকরণ

রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। তার স্বামীর ঘর ওপার বাংলায়। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ঢাকায় ‘আটকা’ পড়েছিলেন মিথিলা। এরইমধ্যে মেয়ে আইরা তাহরিম খানকে সাথে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় সড়ক পথে কলকাতায় গিয়েছিলেন মিথিলা।

মিথিলাকে নিতে স্বামী সৃজিত মুখার্জি বেনাপোল স্থলবন্দরের নিকট ভারতীয় সীমান্ত পেট্রাপোলে চলে আসেন। বলা যায় দীর্ঘদিনের পরে এই মিলন মেলা। তবে এই মিলন মেলাও সাঙ্গ হয়েছে। অবশ্য সাঙ্গ বললে অনেকটা ভুল হয়। আপাতত দুজনের দুরত্ব ফের কাঁটাতারে বাটকে গিয়েছে।

কদিন আগে সৃজিত মিথিলা ও আইরাকে বাংলাদেশে রেখে গেছেন। মিথিলা অবশ্য বাংলাদেশে রয়েছেন এখন। আর এরইমধ্যে মিথিলার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। ইনস্টাগ্রাম থেকে নিয়েই অবশ্য এসব ছবি প্রকাশ করেছে।

সাহসী ছবি পোস্ট করবার ক্ষেত্রে কোনও সময় সৃজিতের স্ত্রী মিথিলা দ্বিধা করেন না।  পিঠ খোলা পোশাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুললেন মিথিলা।

সাদা কালোয় মিথিলার এই ফটোশ্যুট মনে করাচ্ছে মেরিলিন মনরোকে। অবশ্য মনে করানো বললে নভুল হবে, অন্তত মিথিলাই চাইছেন মেরিলিন মনরোকে অনুকরণ করতে। জনপ্রিয় এই হলিউড নায়িকার উদ্ধৃতি মনে করিয়ে মিথিলার লিখেছেন, ‘ভয় পাওয়া হলো বোকামি, আর অনুশোচনাও’।

কালো লেয়ার্ড গাউনে মিথিলার মোহময়ী রূপে ঘায়েল লক্ষ পুরুষ হৃদয়। আনমোনা মিথিলার চাহনি থেকে পুরুষ হৃদয়ের ধুকপুকানি বেড়েছে কয়েকগুণ।

খনও ক্লিভেজ প্রদর্শন তো কখনও খোলা পিঠে যৌন আবেদন দিয়ে নেটিজেনদের ঘায়েল করা এবং এর কারণে প্রায়ই আক্রমণের মুখেও পড়েন মিথিলা। তবে ওই সব সমালোচকদেরর তিনি পাত্তা দেন না।

অবশ্য দেশীয় মিডিয়ায় কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথিলার পেশাগত সাফল্যের চেয়েও বেশি তার ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের ভাঙা-গড়া জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশি গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খানের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার পর কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর ট্রোল, মিম ধেয়ে আসে তার দিকে।

অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়ে কুরুচিকর কথা বলতেও দ্বিধা বোধ করেনি নেটিজনদের একাংশ।

মেরিলিন মনরো মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়ক, যিনি কৌতুকপূর্ণ “স্বর্ণকেশী বোম্বশেল” চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি তার সময়ের একজন প্রধান যৌনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

মাত্র এক দশক ধরে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন মনরো, তবে তার চলচ্চিত্রগুলি ১৯৬২ সালে তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১৯ সালে $২ বিলিয়ন সমমূল্যের) আয় করেছিল। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পরে, তিনি একজন জনপ্রিয় সংস্কৃতি আইকন হিসাবে এযাবৎকাল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছেন।

যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিথিলা এই ‘সেক্স সিম্বল’কে অনুকরণ করতেই পারেন।

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ