খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
২০২১ সালের ডিসেম্বর খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। তবে ত্রৈমাসিকের তুলনা করলে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ১ দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত ডিসেম্বর-২০২২ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

খেলাপি ঋণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, টাকার অঙ্কের পাশাপাশি খেলাপি বেড়েছে শতকরা হিসাবেও। ডিসেম্বরে মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে ব্যাংক খাতে মোট ঋণ ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালের একই সময়ে এটি ছিল ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় এসে সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনারও আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে বাড়লো খেলাপি ঋণ।

খেলাপির হার বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ও বেসিক- এ ছয় ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ৫৬ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ সময়ে ব্যাংকগুলো দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর শেষে এ ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৬০ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

বেসরকারি ব্যাংক
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময়ে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে এক লাখ ১০ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।

বিশেষায়িত তিন ব্যাংক
কৃষি, প্রবাসীকল্যাণ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন- বিশেষায়িত এ তিন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। এই অঙ্ক তাদের বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বিদেশি ৯ ব্যাংক
বিদেশি মালিকানার ৯ ব্যাংকের ডিসেম্বরে প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। এসব ব্যাংকের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।