খালেদা জিয়ার পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়েছে

এখনো সংকটজনক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের পর খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে সচল রাখতে তারা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন  তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এর চেয়ে বেশি কিছু করার মতো সমন্বিত মাল্টি ফ্যাসিলিটেড চিকিৎসাকেন্দ্র বাংলাদেশে নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসকের বরাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বজনরা জানান, খালেদা জিয়ার শরীরের ভেতরে রক্তপাতের কিছু উৎস পাওয়া গেছে এবং সেগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে জমাট বাঁধা রক্তও। ডা. জাহিদ আরো বলেন, এন্ডোস্কপির পর মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে রেখে কিছু দিন পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন। আমরা প্রতিনিয়ত তাকে পর্যবেক্ষণ করছি। সামনের কয়েকটি দিন তার জন্য খুব ক্রিটিক্যাল।

গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার রক্তবমি ও মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এর কারণ বের করতে গত বুধবার রাতে ডাক্তাররা তার কোলনোস্কপি এবং এন্ডোস্কপি করেন। খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন থেকে তিনি সিসিইউতে আছেন।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়া এখনো শক্ত খাবার খেতে পারেন না। তবে তরল কিছু খাবার দেওয়া হয়েছিল। তার বমির প্রবণতা কমেছে। কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক জানান, তার লিভার বা যকৃতের জটিলতার কারণে মেডিক্যাল বোর্ড বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং হার্টের পুরনো সমস্যা রয়েছে। আছে দাঁত ও চোখের সমস্যাও। কিন্তু এখন জটিল হয়েছে লিভারের সমস্যা, সে জন্য অন্য সমস্যাগুলোতে ওষুধ সেভাবে কাজ করছে না। লিভারে একটি অপারেশন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ধরনের অপারেশনের আধুনিক সুবিধা বাংলাদেশে নেই। লিভারের রোগটা এমন একটি পর্যায়ে গেছে, যার কারণে তার কিছুটা জিআই ব্লিডিং (পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ) হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ