খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি মুলতবি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানি ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জেরার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।

 

এর আগে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

 

আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। জেরাকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার নথি ও তদন্ত কর্মকর্তার এ মামলায় যোগসাজশ এবং তাঁর তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। পরে দুপুর পৌনে ১টায় জেরা শেষে আদালত আজকের মতো মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়ার সঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জেরার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। কিন্তু ২৪ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করার জন্য তাঁকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।

 

শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। আপনি চাইলে মৌখিক বা লিখিতভাবে প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে পারবেন। এ জন্য আপনি প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন।’

 

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

 

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

 

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

 

সূত্র:এনটিভি