রিজভী আরও বলেন, এত ভয় কীসের? এতো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার কেন? সারাদেশে ৬৮০ জন নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাদের কাণ্ডজ্ঞান লোপ পেয়েছে। তাই তারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলছে। দলীয় চেতনায় পুলিশ তৈরি করেছে। তারা মিছিলে পাখির মতো গুলি করে অনেক নেতাকর্মীদের অন্ধ করেছে। আহত করেছেন এবং পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করাচ্ছে। এরপরও আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে বিএনপি অফিস ঘিরে রাখা হয়েছিলো। এটা কেন? কোন সংবিধানে এ অধিকার আছে?
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরো বলেন, যখন চারবারের প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো কোনো কথা ওঠেনি। তাই চাঁদ ইস্যুতেও আমি কোনো কথা বলতে পারব না।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী রাজশাহী শহরে যেসব বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদসহ জেলা ও মাহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর হুমকিদাতা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।