রেকর্ডে চোখ জ্যোতির

স্পোর্টস ডেস্ক :

বাংলাদেশের সার্বিক ক্রিকেট কাঠামোর তুলনায় ঘরোয়াতে নারী ক্রিকেট খানিকটা অবহেলিতই। তবে গত কয়েক বছরে নারী ক্রিকেট উন্নয়নে বেশ জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারই অংশ হিসেবে শুরু হয় নারী ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। আজ থেকে শুরু হয়েছে জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টের এবারের আসর।

ডিপিএলের সর্বশেষ আসরে রূপালি ব্যাংকের হয়ে খেলেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার নেতৃত্বে সম্ভাবনাময়ী দল গড়লেও সেই আসরে শিরোপার কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত দেখা পায়নি রূপালি ব্যাংক। একই দলের হয়ে এবারও মাঠ মাতাবেন তিনি। তাই গতবারের সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে এবার শিরোপায় চোখ জ্যোতির।

চলমান এই আসর ঘিরে নিজের লক্ষ্য আর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে জ্যোতি বলেন, ‘সাধারণত প্রত্যেকটা দলেরই তো লক্ষ্য থাকে যে চ্যাম্পিয়ন হবে। গতবছরও আমি এই রূপালি ব্যাংকে খেলেছি, সেবার দুঃখজনকভাবে নেট রান রেটের কারনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এবার অবশ্যই লক্ষ্য রয়েছে, যেন পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে পারি। দলকে যেন ভালো কিছু দিতে পারি। চেষ্টা থাকবে ১১০% দিয়ে দলে অবদান রাখার।’

শুধুই দল নয়, নিজের ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সেও জোর দিচ্ছেন জ্যোতি। অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান অধিনায়ক। তার জন্য যতটুকু দেওয়া দরকার, তার সবটুকু নিংড়ে দিতে প্রস্তুত এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সুযোগ পেলে এই লিগে একই আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়তে চান তিনি।

জ্যোতি বলেন, ‘ব্যাক্তিগত লক্ষ্যের কথা যদি বলেন, হ্যাঁ, একটা লক্ষ্য রয়েছে। ফারজানা পিংকির একটা রেকর্ড রয়েছে তিনি মনে হয় ৭৬১ রান করেছিল এক সিজনে। ২০১৯-২০ ডিপিএলে তিনি করেছিলেন, তো ওটা ভাঙার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সেবার ম্যাচের সংখ্যা ছিল বেশি যদিও এবার কম, তবে চেষ্টা থাকবে তার রেকর্ডটা ভাঙার, যদি আল্লাহপাক তৌফিক দান করে।’

সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ৭৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন জ্যোতি। তার এমন ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছিল দলও। ঘরের বাইরে এমন ব্যাটিংই বলে দেয় ব্যাটিংয়ে কতটা উন্নতি করেছেন তিনি।

নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। আমি বরাবরই চেষ্টা করি যে, দলটার আসলে কি প্রয়োজন? আমি সেই প্রয়োজন অনুযায়ীই খেলার চেষ্টা করি। সেইদিন প্রয়োজন ছিল, আমি সেজন্য ওইভাবেই ব্যাটিং করেছি। অনেক সময় হয় আবার অনেক সময় হয় না। সবাই তো চেষ্টা করে। আমি ওভাবেই ব্যাটিং করি।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই সিরিজে প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেলেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হেরে দেশে ফিরতে হয়েছে জ্যোতির দলকে। এই সফরে সিরিজ জয়ের বড় সুযোগ হাতছাড়া করার পেছনে ভাগ্যকেই দায় দিলেন অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘এখন সেটা তো চলে গেছে, ওটা নিয়ে এখন চিন্তা করলে খারাপ লাগা বেড়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, আমি প্রথমে ভালো পারফর্ম করেছিলাম পরবর্তীতে হয়তো ধারাবাহিক ছিলাম না। যার কারণে হয়তোবা…আমি থাকলে রানটা আরও বেশি হতো। ভাগ্য সহায় ছিল না।’