মঙ্গলবার , ৩১ অক্টোবর ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

খালেদার গাড়িবহর অতিক্রমের পরপরই দুই বাসে আগুন, আটক চার

Paris
অক্টোবর ৩১, ২০১৭ ১০:১৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ফেনীর মহিপালে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর অতিক্রমের পরপরই দুই বাসে প্রথমে বোমা হামলা ও পরে আগুন দেওয়া হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাস দুটির চালক ও সহকারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ মঙ্গলবার বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বহরটি মহিপাল ফিলিং স্টেশন ও হোসেনীয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ‘আবার খাবো’ হোটেলটি অতিক্রম করে। এর পরই কে বা কারা ওই হোটেলের সামনে গিয়ে দুটি বাসে পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। একইসঙ্গে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলে লোকজন এদিক-ওদিক ছুটে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বাস দুটি রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় বাসে কোনও যাত্রী ছিল না।

বাস দুটির একটি ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরগামী যমুনা ট্রান্সপোর্ট ও অপরটি ঢাকাগামী চৌদ্দগ্রাম ট্রান্সপোর্ট পরিবহনের ছিল। ঘটনার পর ফেনী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকা থেকে ‘আবার খাবো’ হোটেল হয়ে একটি রাস্তা মহিপালে মহাসড়কের সঙ্গে এসে মিলিত হয়েছে। এ রাস্তা ধরে ৮ থেকে ১০ জন তরুণ এসে ঘটনা ঘটিয়ে আবার দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে পারে বলে তারা দাবি করেন। ওইসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে স্বাগত জানাতে কয়েক শ দলীয় সমর্থক ওই এলাকায় ভিড় জমায়। ফলে সবার নজর বহরের দিকে থাকায় হামলার বিষয়টি প্রথমে কেউ লক্ষ্য করেনি। ঘটনার পর ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় ও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খাঁন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছে। ” রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক দল অবস্থান নিয়ে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, “এ ঘটনা কারা কী কারণে করল- তা অবশ্যই অনুসন্ধান করবে পুলিশ। যারা শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করতে চাইবে তাদের কিছুতেই ছাড়া হবে না। ”

ক্ষতিগ্রস্ত যমুনা পরিবহনের মালিক ও পরিবহন নেতা আবুল কাশেম মিলন বলেন, “মাত্র কিছুদিন আগে নতুন গাড়িটি নামিয়েছিলাম। এখন আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। বোমা ও আগুনে গাড়ির ভেতরের আসন, ছাদ ও ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ” তবে বিষয়টি নিরূপণের পর ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়