খাদিজা চোখ মেলেছেন, হাত–পা নাড়ছেন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের পরামর্শক রেজাউস সাত্তার। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকালে আমরা যখন ঘুমের ওষুধগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করলাম, তখন দেখা গেল ব্যথা দেওয়ার পর খাদিজা চোখ খুলছেন, ডান হাত ও ডান পা মুভ করছেন। কনশাস লেভেল ১৫-তে ৬ ছিল, এখন ১০-এ ৬। তিনি এখনো ভেন্টিলেশনে আছেন। মস্তিষ্কে চাপ কমানোর জন্য তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’

তবে বেঁচে থাকলেও খাদিজা ঠিক কতটা সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন, সে সম্পর্কে এখনই চিকিৎসকেরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। বয়স মাত্র ১৯ বছর হওয়ায় খাদিজার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেও তাঁরা জানান। জ্ঞান পুরোপুরি ফিরে এলে এবং মস্তিষ্ক পুরোপুরি কার্যকর হলে হাত-পায়ের আঘাত নিয়ে চিকিৎসকেরা কাজ শুরু করবেন।

চিকিৎসকেরা বলেন, মস্তিষ্ক কতটুকু কাজ করছে, সেটি বোঝার জন্য গ্লাসগো কোমা স্কেল ব্যবহার করা হয়। চোখ মেলা, ডাকে সাড়া দেওয়া ও স্পর্শ করলে বা ব্যথা পেলে সাড়া দেওয়া—এই তিন নির্ণায়কের ভিত্তিতে স্কোর নির্ধারণ করা হয়।

রেজাউস সাত্তার বলেন, ‘আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল জীবন বাঁচানো। যদিও আশা ছিল খুবই ক্ষীণ। এই রকম আঘাতের পর আমরা আশা করি না রোগী উঠে বসবে, কথা বলবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর রেসপন্স কেমন, সে সম্পর্কে ভালো বলা যাবে না। খাদিজা এখনো ভেন্টিলেশনে আছেন। কনশাস হলে ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।’ তিনি আরও বলেন, এ ধরনের আঘাতের ক্ষেত্রে প্রথম চার ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন ফোর আওয়ারস’ বলা হয়। আরও আগে রোগী এসে পৌঁছালে হয়তো পরিস্থিতি আরও একটু ভালো হতো।

সংবাদ সম্মেলনে রেজাউস সাত্তার সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা হয়েছিল। তাই ১২-১৪ ঘণ্টা পর সিলেট থেকে খাদিজা স্কয়ার হাসপাতালে এসে পৌঁছালেও আমরা অস্ত্রোপচারের ৯৬ ঘণ্টা পর বলতে পারছি খাদিজা বেঁচে আছেন।’

সূত্র: প্রথম আলো