খরার কবলে আমন চাষের জমি, কৃষকদের বিশেষ নামাজ আদায়

তানোর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে আমন মৌসুমে খরার কবলে পড়েছে কৃষিজমি। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষককে চারা রোপন করতে হয়েছে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিয়ে। কিন্তু তাতেও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না।

তানোরের কৃষকরা খরার কবল থেকে মুক্তি পেতে গতকাল বুধবার সকালে আমটিয়ারা মাঠে ও গত মঙ্গলবার সিন্দুকাই ফুটবল মাঠে বৃষ্টির জন্যে ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন। এলাকার শত শত কৃষক জামায়াত হয়ে এক সঙ্গে ইসতেসকার নামাজ আদায় ও দোয়া করেন। খরার কবল থেকে মুক্তি পেতে ইসতেসকার নামাজ আদায়ের জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। বৃষ্টির জন্য গত তিন দিন থেকে একই স্থান ইসতেসকার নামাজ আদায় করেন এলাকার কৃষকরা।

মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা জমির ধানের উপর র্নিভরশীল। সেচের অভাবে আমন ধানের জমি ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। আল্লাহ পাকের রহমতের বৃষ্টির জন্য আমরা ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি।

তানোর বেলপুকুর গ্রামের কৃষক মামুন জানান, মাঠ আর মাঠ সবুজে সমারহ। আবার অনেক মাঠে পানির জন্য জমি রোপন করতে পারছে না কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকায় অনেক গভীর নলকুপ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কিছু কিছু এলাকার ক্ষেতে কৃষকেরা গভীর নলকূপের সেচ দিলেও উঁচু জমিগুলো ধানের মধ্যেই ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সবুজ পাতাগুলো বৃষ্টির অভাবে মরে যেতে শুরু করেছে।

এ অবস্থায় কেউ কেই পুকুর, ডোবা নালার পানি সেচ দিয়ে কোন রকমে ধান বাচানোর চেষ্টা করছেন। তবে রোদের তীব্রতায় মুহুর্তেই মাঠ শুকিয়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন সহসা বৃষ্টিপাত না হলে এ অঞ্চলের আমন আবাদ এবার চরম হুমকির মুখে পড়বে। অনেক কষ্টার্জিত ফসল ক্ষেতেই বিনষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষেতের ধান বাচাতে বৃষ্টির পানির জন্য নামাজ ও দোয়া করার উদ্যোগ নিয়েছেন তানোর উপজেলার কৃষকরা।

তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন চাষাবাদটি মুলত বর্ষা পানির উপর র্নিভর। অনেক উঁচু জমিতেও কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকে। গত এক মাস ধরে বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন বৃষ্টি পানির দেখা নাই। অঞ্চল ভেদে যেটুকু হয়েছে তাও সামান্য। আমরা চেষ্টা করছি গভীর নলকূপ মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে কৃষকদের আবাদ রক্ষা করার ।

জি/আর