ক্রাইস্টচার্চে হামলায় বাংলাদেশি অধ্যাপক নিহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা গেছে।এদের একজন বাংলাদেশি অধ্যাপক।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আট বাংলাদেশি। আরও দুজন বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অক্ষত রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান।

নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ইঞ্জি. শফিকুর রহমান নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন- কৃষিবিদ ড. আবদুস সামাদ ও হোসনে আরা। তিনি লিংকন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। একসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। আর হোসনে আরা একজন গৃহবধূ।

আবদুস সামাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন তিনি। লিংকন ইউনিভার্সিটিতে কৃষি বিষয়ে অধ্যাপনা করতেন।

শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে জুমার নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস নেই, অনারারি কনসাল ইঞ্জি. শফিকুর রহমান থাকেন অকল্যান্ডে।বাংলাদেশি দুজন নিহত ও আটজন গুলিবিদ্ধের তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, শুক্রবার অনেকেই জুমার নামাজ পড়তে আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কযেকজন না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন।

পরে হাসপাতালে ১০ বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

এদিকে নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা অল্পের জন্য রক্ষা পান। তারা হামলার সময় আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন জুমার নামাজ পড়তে। ভেতরে গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পেরে তারা বাইরে থেকেই দ্রুত নিরাপদে সরে যান।

গুলির ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল।