ক্যাপিটল হিলে হামলা: বাইডেনের অভিষেকের দিন কী হবে?

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলার পর জানুয়ারি মাসের সামনের একটি দিন নিয়ে এখন প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে। দিনটিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তো বটেই, সারা বিশ্বেও লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের কৌতূহল, সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই দিনটি হচ্ছে ২০ জানুয়ারি।

সেদিন দেশটির ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের কথা রয়েছে। এর পরেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিভাষায় এই দিনটিকে বলা হয় অভিষেক দিবস। এটি একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, যেখানে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস শপথ গ্রহণ করবেন।

 

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকেই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে- ট্রাম্প কি নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? যদি তিনি রাজি না হন তাহলে কী হবে? ট্রাম্প কি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন?

৬ জানুয়ারি বুধবার ক্যাপিটল হিলে আইন-প্রণেতাদের অধিবেশনের সময় সহিংস হামলার পর এসব প্রশ্ন ও সংশয় আরও জোরালো হয়েছে।

অনেকেই জানতে চাইছেন ২০ তারিখে কী হবে? সেদিন কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যদি অভিষেক অনুষ্ঠানে আবার ঝামেলা করার চেষ্টা করে? সেদিনের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কেমন নিরাপত্তা থাকবে?
প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য এমনিতেই বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা। ক্যাপিটল হিলে হামলার পর এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য এবার বাড়তি নিরাপত্তার কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো এখনও পরিষ্কার নয়। কিন্তু বাইডেন যখন শপথ গ্রহণ করবেন তখনও ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।

ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার কারণে রাজধানীর মেয়র সেখানে এই জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ৬ জানুয়ারি যে ডিসি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে তারা ৩০ দিন কাজ করবে। এর অর্থ হল প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যাপিটল পুলিশকে সাহায্য সহযোগিতা করবে এই ন্যাশনাল গার্ড।

বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমার নিরাপত্তার বিষয়ে কিংবা অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়েও আমি উদ্বিগ্ন নই।”

তবে জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য গঠিত কমিটির একজন সদস্য ও সেনেটর এমি ক্লবাচার, ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় যিনি তখন ওই ভবনের ভেতরেই ছিলেন, বলেছেন তিনি আশা করছেন যে ওই অনুষ্ঠানে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন ঘটানো হবে।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন