ক্যাচ মিসে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কতটা বাজে? 

 

স্পোর্টস ডেস্ক:
একের পর এক ক্যাচ মিস করেই চলেছে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে বাগে পেয়েও হাতছাড়া হয়েছে সুযোগ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচ মিসের সুবাদে লংকানরা ফিরে এসেছিল ম্যাচে। সেই ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছিল রেকর্ড ৩২৮ রানের ব্যবধানে। অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি চট্টগ্রাম টেস্টে এসেও। একের পর এক সহজ ক্যাচ ফেলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সাগরিকায় তাই রানের উৎসব করেছে সফরকারী ব্যাটাররা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের চিত্র দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই, গেল তিন বছরে অন্তত স্লিপে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পাওয়া এক তথ্য বলছে, গত তিন বছরে বাংলাদেশি পেসারদের বলে স্লিপে যতগুলো ক্যাচ গেছে তার প্রায় ৮৬ শতাংশই তালুবন্দি করেছে বাংলাদেশ।
প্রকাশিত ওই তালিকা বিবেচনায় আনলে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। তালিকায় সবার ওপরে আছে দক্ষিন আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা প্রায় ৮৯ শতাংশ ক্যাচ তালুবন্দি করেছে। তারা স্লিপ ফিল্ডিংয়ে কতটা দক্ষ তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। প্রায় ৮৮ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে দুইয়ে ভারত। আর প্রায় ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে তিনে ছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের সমান ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে চার নম্বরে ছিল বাংলাদেশের নাম। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের পরই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার নাম ছিল এরপরেই। তবে আরেকটু পেছনের দিকে গেলে বাংলাদেশের চিত্রটা ছিল ভয়াবহ। ২০১০-২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বিবেচনায় আনলে ক্যাচ এবং স্ট্যাম্পিং মিসের দিক থেকে সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। ক্রিকইনফোর এক পরিসংখ্যান বলছে, ওই পাঁচ বছরে ৩৩.১ শতাংশ ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।  সেই তালিকায় জিম্বাবুয়ের পেছনে ছিল বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানরা মিস করেছিল ৩১.৯ শতাংশ ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং সুযোগ। এর ওপরে ছিল পাকিস্তান (৩০.২ শতাংশ) এবং ভারত (২৭.২ শতাংশ)। সেই ৫ বছরে আবার সবচেয়ে কম মিসের তালিকায় ছিল নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যেকেরই সুযোগ মিস করার হার ছিল ২২ শতাংশের কম।  আবার ২০০৩ থেকে ২০০৯ সালের হিসেবেও বাংলাদেশই ছিল সবার তলানিতে। ৩৩.৩ শতাংশ সুযোগ মিস করেছিলেন তৎকালীন টাইগার ক্রিকেটাররা। ২০০৯ সাল পরবর্তী গ্রাফটা তাই বেশ উন্নতির দিকে, এমনটা বলাই যায়। যদিও ২০২৪ সালের শুরুতে এসে এসব পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্যাচ মিস করেছেন জয়-শান্তরা। ক্যাচ নেওয়ার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো সময় পার হয়েছে ২০১৯ সালে। সেবছর ৩০ ম্যাচে ১৪২টি ক্যাচ নিয়েছিলেন টাইগার ফিল্ডাররা। ছেড়েছিলেন ৩৩টি। শতকরা হিসেবে ১৮.৯ শতাংশ ক্যাচ মিস করেছিল সাকিব-মাশরাফিরা। এর আগের বছর মিস হয়েছিল ২১ শতাংশ ক্যাচ। ২০২০ সালে ক্যাচ মিস হয়েছিল ২১.৩ শতাংশ। ২০২১ সালে তা আবার নেমে যায় ২০.৫ শতাংশে।