কোরবানির গরু নিয়ে শঙ্কায় লক্ষ্মীপুরের সাড়ে তিন হাজার খামারি

কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে লক্ষ্মীপুরে শঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার খামারি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান লকডাউনে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা।  একই সঙ্গে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গরু ব্যাপারীরা।

উপজেলার পশ্চিম টুমচর গ্রামের খামারি রাসেল জানান, ‘ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১০টি গরু ধার-দেনা করে কিনে খামারে লালন পালন করেছি। ঈদ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন থাকলে গরু নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। দেনা কিভাবে দিবো বুঝে উঠতে পারছি না।’

কোরবানির ঈদকে ঘিরে আগের বছরের মতো এবার মিলছে না গরু বাজার। লকডাউনের কারণে ব্যাপারী ও খামারিরা হাট-বাজারে গরু নিয়ে যেতে পারছেন না। কেউ কেউ বাজারে গেলেও ক্রেতা শুন্যতায় অলস সময় পার করছেন। যেখানে এসময়ে অন্য বছরে বেচা-কেনায় ব্যাস্ত সময় পার করতেন তারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, এবার দেশি গরু কোরবানি দিবেন। শেষ সময় পর্যন্ত পছন্দের গরু কিনতে মুল্য যাচাই করছেন বলে জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার ৫ উপজেলার এমন খামারির সংখ্যা রয়েছে প্রায় সাড় তিন হাজার। সবাই এখন শঙ্কিত রয়েছে বলে জানা যায়। আশেপাশের অন্য খামারিদেরও একই অবস্থা। হতাশা আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।

এদিকে, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেন জানান, ‘জেলায় এবার সাড়ে তিন হাজার খামারির প্রায় ৭০ হাজার গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে চলমান লকডাউনে গরু বিক্রি নিয়ে খামারিদের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ শঙ্কা কাটাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অনলাইন প্লাটফর্মে গরু বেচা-কেনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন এ কর্মকর্তা।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন