কেন শিখরা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অতীতে মুসলমানদের হাতেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। আর আজ সেই শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনই সংকটাপন্ন রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। তবে তাঁদের এই এগিয়ে আসার পেছনে কারণ কী?

হারমিত সাহ সিং নামের এক শিখ ধর্মাবলম্বী এ নিয়ে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। ডেইলিও ডট ইন নামে একটি পোর্টাল এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

হারমিত সাহ সিং তাঁর লেখা শুরু করেছেন অনেকগুলো প্রশ্ন দিয়ে, ‘কেন শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন বাংলাদেশে গিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন? তবে কি তাঁরা মুসলমানদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের কথা ভুলে গেছেন? তাঁরা কি ভুলে গেছেন মোগলদের নির্দেশে শিখগুরু অর্জন এবং গুরু তেগ বাহাদুরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা? শিখরা কি ভুলে গেছেন শিশু গুরু গোবিন্দ সিং বাঁচার জন্য কী করেছিল? খালসা সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথাও কি তাঁদের মনে নেই? তাঁরা কি জানেন না যে আমাদের সরকার রোগিঙ্গা মুসলমানদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে?’

এর পর হারমিত বলেন, এসব কথা রোহিঙ্গাদের সমর্থনকারী ও অসমর্থনকারী এবং ভারতের মুসলিমবিরোধীদের মধ্যে হাজারো প্রশ্নের সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সবার উদ্দেশে বলতে চাই, তারা সব জানে। তারা ইতিহাস পড়েছে। সংবাদপত্র পড়েছে, টেলিভিশন দেখেছে। কিন্তু শ্রী গুরুগ্রন্থ সাহেবে কী লেখা আছে, তারা সেটা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। সেখানে মানবতার সমুদ্রের একটি ক্ষুদ্র অংশ আছে।

‘আমি ব্যক্তিগভাবে আমাদের অনেকের মতো উপলব্ধি করেছি, ১৯৮৪ সালে দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর মুখ থেকে যদি হিন্দুরা আমাদের না বাঁচাত, তবে আমাদের কী হতো।’

বর্তমানে রোহিঙ্গারা একখণ্ড মাটি খুঁজছে, যেখানে তারা মাথাটুকু গোঁজাতে পারবে। আমি খালসার সহয়তা নিয়ে গর্বিত’, বলেন হারমিত।

হারমিত সাহ সিং আরো লিখেছেন, খালসা শুধু রোহিঙ্গাদের সহায়তাই করছে না, যেখানে আইসিইউতে মানবতা পড়ে আছে, সেখানেও তারা অক্সিজেন সরবরাহ করছে। যাতে করে এটি বেঁচে থাকে।

যুক্তরাজ্যের নিবন্ধিত খালসা নামক এই সংগঠন কক্সবাজারের টেকনাফে ত্রাণ-সহায়তাসহ একটি স্বেচ্ছাসেবক দল পাঠিয়েছে।

সূত্র: এনটিভি