কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়: কৃষিমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতি বছরই ৯-১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হয় কৃষি প্রণোদনা হিসেবে। এ প্রণোদনার পুরোটা ব্যবহার হয় না। ৩-৪ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর সেভ হয়।

তিনি বলেন, শ্রমিকের অভাব দূর করার জন্য এই টাকা ধান কাটার যন্ত্রসহ কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ধানকাটা শ্রমিকের মূল্য যে অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে তা কমিয়ে আনা হবে। ইরিগেশনের সময় ২০ ভাগ বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি দেয় সরকার। কিন্তু দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় সেচ মালিকরা জমি চাষ করে থাকে। এটা একটা নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি নিলে তারা কোনো প্রণোদনা বা ভর্তুকি পাবে না।

তিনি বলেন, আমরা কোনোদিন রফতানিতে ছিলাম না, আন্তর্জাতিক বাজারে ঢুকা কঠিন ব্যাপার। সেজন্য একটা প্রণোদনা দিয়ে দেয়ার চিন্তা করছি। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করছি ধান কাটা শেষে ঘরে তোলার পর আমরা বুঝতে পারবো কী পরিমাণ আমাদের উৎপাদন হয়েছে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, সামনে বর্ষার সময় আমনের মৌসুম শুরু হবে। সেটা বিবেচনায় রয়েছে। আবার এরই মধ্যে রফতানির ঘোষণা আসতে পারে। সেই ঘোষণা আসলে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ ও কেনার প্রতি জোড়দার করতে পারবো।

তিনি বলেন, মিলাররাও অনেক চাল আমন মৌসুমে কিনে বিক্রি করতে পারেনি। অনেকেই আবার অনেক চাল বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। আমদানি করেও কোনো সুবিধা করতে পারেনি। সেগুলো তাদের ঘরে রয়েছে। যে চালগুলো বিদেশ থেকে এসেছে বাসমতি, জেসমিন। যেগুলো বড় বড় রেস্টুরেন্ট ও বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের এমপি একাব্বর হোসেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান, টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের এমপি আহসানুল ইসলাম টিটু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুক, পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।