কৃষিতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কৃষিতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে শস্যের বহুমুখীকরণ ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার, কৃষি আধুনিকীকরণ, প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণবিদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

বুধবার (২৭ জুলাই) ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) ২০২০’ সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) ২০২০’ সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের মূল বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে টেকসই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর। এ ক্ষেত্রে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় মুখ্য ভূমিকা রাখছেন কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, কৃষক, উৎপাদনকারী ও কৃষি সংগঠকরা। এদের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এআইপি হিসেবে নির্বাচিতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া কৃষিক্ষেত্রে একটি অনন্য সংযোজন বলে তিনি মনে করেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের মানুষের আদি ও অকৃত্রিম পেশা কৃষি। সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা এ দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি প্রধানত কৃষিকেন্দ্রিক। আয়তনে ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ দানাদার খাদ্যের উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশের দৃশ্যমান এ সাফল্যের সূচনা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে। স্বাধীনতার পরপরই তিনি কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করেন। তার দেওয়া প্রথম ডেভেলপমেন্ট বাজেটের ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ১০১ কোটি টাকাই ছিল কৃষি উন্নয়নের জন্য। জাতির জনকের প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে উদ্ভাবিত হচ্ছে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী পরিবেশ উপযোগী বিভিন্ন ধরনের ফসলের জাত ও প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি আজ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলে।

কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যারা এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। এ উদ্যোগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎসাহিত করবে এবং কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ