কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাত ১০ টা পর্যন্ত নতুন করে আরও ১১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৫৮৫ জনে।
এদিকে, সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৭২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭২ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ৪৭৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬২ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, তাড়াইলে ৯ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৩ জন, কটিয়াদীতে ৬ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন, ভৈরবে ১৫ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও ইটনায় ৩ জন। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনসহ মোট ৫৪ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন, করোনায় ৪ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৮ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৩৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৪৯ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩১ জন, হোসেনপুরে ১৯ জন, করিমগঞ্জে ৩৭ জন, তাড়াইলে ৩১ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫২ জন, কটিয়াদীতে ৭৪ জন, কুলিয়ারচরে ২৭ জন, ভৈরবে ১২৪ জন, নিকলীতে ৮ জন, বাজিতপুরে ২২ জন, ইটনায় ২২ জন ও মিঠামইনে ২ জন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
